ইফতারি সংস্কৃতি ২০২৫। ইফতারির কোন কোন দেশে কি রকম সংস্কৃতি হয় এবং তা কি কি?
ইফতারি সংস্কৃতি- ইফতারির কোন কোন দেশে কি রকম সংস্কৃতি। ইফতারি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং প্রথা অনুসরণ করে উপস্থাপন করা হয়। কিছু দেশে ইফ বাতারি খাবার দেয়া হয় একটি বড় টেবিলে সমস্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য, আর কিছু দেশে এটি শুধুমাত্র খাজানার জন্য এবং কিছু দেশে এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য উপস্থাপিত হয়।মিশরে ইফতারি হাফিজ আদাম ও মাসিক পাশায় জারি হয়। আদাম পাশায় মিশ্রিত ফল শরবত এবং সব্জি উপস্থাপিত হয়। মাসিক পাশায় দাঁতে দাঁতে জুলাইব এবং ফুলাফুলি উপস্থাপিত হয় থাকে।
সৌদি আরবে ইফতারি সংস্কৃতি।
সৌদি আরবে ইফতারির সংস্কৃতি অনেকটা ভিন্ন হতে পারে তারা একটি মুসলিম দেশ এবং রমজান মাসে ঈদের নিকট যাচাই করা হয়। সেই মাসে সকালের আগে আসন বা ফজরের পর নামাজের নামজারী করা হয়। দিনের সবচেয়ে বড় মাহফিল হল ইফতারি যা রোজা খোলার সময় খাবার সম্পর্কিত হতে থাকে।সৌদি আরবে ইফতারি তে সাধারণত খাবারের মাত্রা অনেক বেশি হয় এবং সব পরিবারের সদস্য মেজবানি করতে উত্সাহিত থাকে। সাধারণত ইফতারি হলো তারকারি সম্পুর্ন কার্যক্রম যেখানে সামনে থাকা খাবার সম্পর্কিত সব জিনিস নিখাত করা হয়। ইফতারি খাবার সম্পর্কিত সাধারণত প্রচলিত হওয়া কিছু জিনিস হলো দেগ মাটন কোফতা ফলুদা রুজাক কোরমা মাখন দুধ মিশ্রি ইত্যাদি।এছাড়াও সৌদি আরবে ইফতারি সম্পর্কিত আরও অনেক আছে ইত্যাদি।
সৌদি আরবে ইফতারি মেজলিস নামে পরিচিত। এটি বৃহত টেবিলে সমস্ত পরিবারের জন্য উপস্থাপিত হয়। মাছ সামান্য টিকা খিচুড়ি এবং খজুরের রস এই দেশে সাধারণত পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশের ইফতারির সংস্কৃতি কি।
বাংলাদেশের ইফতারির সংস্কৃতি অনেক পরিবর্তনশীল এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত বাংলাদেশের ইফতারি সংস্কৃতি একটি আলোচিত এবং উত্সবপূর্ণ অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের ইফতারি সময় হল রোজা খোলার সময় হলে। সাধারণত সময়টি সেহরি সময়ে ঘুমর পর আরবি ক্যালেন্ডারের মত হলো মাগরিবের সময়। এর পর ইফতারি শুরু হয় এবং সাধারণত আম পাক মেলা পেঁপে সমোসা কাবাব বিরিয়ানি ফলমূল মিষ্টি এবং পানী সম্পর্কিত আরো অনেক জিনিস খেয়ে থাকেন। এছাড়াও কিছু সময় পানী বা জুস ইফতারির সময় পর্যন্ত রাখা হয়।
বাংলাদেশে ইফতারি সময় একটি আলোচিত বিষয় এবং মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভারতের ইফতারির সংস্কৃতি কি।
ভারতের ইফতারির সংস্কৃতি একটি সাম্প্রতিক মিশ্র সংস্কৃতি যা সাম্প্রতিক মুসলমান জনগণের সংস্কৃতি এবং পরম্পরাগত ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতি দুটি একত্রিত করে।
ইফতারি হল রোজা খানার সময় যখন মুসলিম জনগণ সূর্যাস্তের পর খাদ্য গ্রহণ করে। এ খাদ্য গ্রহণের পর একটি স্বাদিষ্ট ইফতারি তৈরি করা হয়।
ভারতে ইফতারি খাদ্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। মুসলিম জনগণ অধিকাংশ সময় মিষ্টি ও নরম খাবার পছন্দ করে। আদতকারিতা অনুযায়ী ইফতারি সময়ে দুধ, কমলা জুস চা ও সবজি রোল সম্প্রতি প্রচুর জনপ্রিয় হয়েছে।
ইফতারি খাদ্যের একটি প্রধান উপাদান হল কবচা এবং সবজি পাতলা। ভারতীয় কবচা ভাতের সাথে খুব সম্প্রতিক একটি তৈরি যা মুসলিম জনগণ খুব জলপ্রীয় হয়ে থাকে।
ভারতে ইফতারি সংস্কৃতি একটি বিশাল বিবর্তনশীল সংস্কৃতি যা বিভিন্ন প্রদেশে ভিন্ন হতে পারে। ইসলামী সংস্কৃতির একটি অংশ হিসাবে ইফতারি মাস রমজানের সময় সব বিশ্ব মুসলমানের জন্য মুখ্য রূপে উল্লেখযোগ্য হয়। ভারতে ইফতারি সংস্কৃতি উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হতে পারে কারণ দেশের বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও খাবারের প্রকৃতি থাকে।
বাংলাদেশ পাকিস্তান এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে শুরু হয় ইফতারি একাডেমি এবং আম খাওয়া এমনকি কয়েকটি পাকিস্তান
ইরাক ইফতারি সংস্কৃতি কি।
ইরাকে ইফতারি সংস্কৃতি অনেকটা আল-মুসাফির দেশ সম্পাদিত ইফতারি সংস্কৃতির মতো। এই সংস্কৃতিতে ইফতার সময় মানুষ খাদ্য পরিবেশনের জন্য অত্যন্ত গৌরব প্রদর্শন করে থাকে। একটি গৌরবময় ইফতার পরিবেশনে স্বাগতযোগ্য খাদ্য দ্রব্য সবজি এবং মাংসের ভিন্নধর্মী তৈরি করা হয়।
ইরাকে ইফতার শুরু হয় ডান হাতের সাথে খাদ্যের পরিবেশন করে। এরপর মানুষ সামনে বসে খাদ্য উপভোগ করে। প্রতিটি খাদ্য পদার্থ ছোট ছোট পরিমাণে পরিবেশন করা হয় যাতে সবাই একটি করে দানা খেতে পারে।ইরাকে একটি পরিবেশনার সাথে একটি জলস্যাময় খাদ্য সম্পর্কিত পরিবেশন করা হয়, যা মূলত তামিম প্রস্তুতি করা হয়। এছাড়াও ইরাকে ইফতার সময় মানুষ সামনে মিজান নামক একটি ক্যান্ডিস্ট্যান উপস্থাপন করে থাকে।
পাকিস্তানের ইফতারির সংস্কৃতি কি।
পাকিস্তানের ইফতারির সংস্কৃতি সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রভাবিত হয়। ইসলাম ধর্ম একটি মূল্যবান ধর্ম যা পুরো মাহে রমজান ধরনের পরহেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। মুসলমান ধর্ম সম্প্রদায়ের সদস্যরা রমজানে সকালের আগে নির্জনতা ও সংগীত থেকে বিরত হয়ে ইফতারের জন্য প্রস্তুত হয়। ইফতার টাইমে সমস্ত খাদ্য ও পানীয় সেহরী ও রোজার ব্যক্তিগত খাদ্য ও পানীয় খেতে না পারেন।পাকিস্তানে ইফতার সময় একটি বড় উৎসব। সেই সময়ে সেহরী খেতে না পারা মানুষরা বিভিন্ন খাবারের সাথে ইফতার করে। পাকিস্তানের প্রতিটি ঘরে আইটেমগুলি বানানো হয় এবং একটি অনুষ্ঠানের মতো সবাই একত্রে সময় কাটানো হয়। পাকিস্তানের কিছু জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা এক সাথে ইফতারি দেই
কানাডায় ইফতারির সংস্কৃতি কি।
কানাডায় ইফতারি সংস্কৃতি হলো মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্সব পালনের একটি সম্পূর্ণ একটি সংস্কৃতি। কানাডায় রয়েছে একটি বড় মুসলিম সম্প্রদায় যা দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে থাকে। কানাডায় ইফতারি সংস্কৃতি অনেকটা আমাদের বাংলাদেশের ইফতারি সংস্কৃতির মতো।কানাডায় ইফতারি সংস্কৃতি একটি পারিবারিক উৎসব। মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা ইফতার সময় পরিবার সহ উপভোগ করে থাকেন। প্রতিদিনের ইফতারে একটি উপস্থাপন করা হয় যা একটি পারিবারিক উৎসবের মতো। প্রতিদিনের ইফতারে সাধারণত দোসা উপস্থাপন করা হয় যা খুবই জনপ্রিয়। আরও সমস্ত পরিবারের সদস্যদের পছন্দে উপস্থাপিত হয় নান কুজি আর ভাজা মিষ্টি ও পেয়াজ।
আফগানিস্তানে ইফতারির সংস্কৃতি
আফগানিস্তানে ইফতারি সংস্কৃতি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা যা রমজান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়। এই সংস্কৃতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর সহুরি খাওয়া এবং সেহরি খাওয়ার জন্য জাগতে থাকেন।সেহরি সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা সকালের অতিপরিচ্ছন্ন সময়ে প্রস্তুত হয়ে খাবার খাওয়ার জন্য আসন সাজিয়ে রাখেন। সেহরি খাবারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হল ফুলকা নান এবং আলু বস্তা কোরমা এবং রোস্তেড গোশ্ত এবং কোফতা এবং ছাপলী সহ অন্যান্য স্বাদের খাবারের সাথে যোগ করা হয়। বেশিরভাগ সেহরি খাবার খেতে জল এবং লাস্য পরিবেশন করা হয়।
ফজরের নামাজ পড়ার পর সম্প্রদায়ের সদস্যরা ঘর থেকে বের হয়ে কাজ করতে যান।
তুরস্কে ইফতারির সংস্কৃতি কি।
তুরস্কে ইফতারি বিশেষ গুরুত্ব রাখা হয় এবং এটি রোজাদারদের জন্য বিশেষভাবে উপস্থাপিত করা হয়। ইফতারি শুরু করা হয় দুপুর সময় এবং সবচেয়ে প্রথমে খাদ্য এবং পানীয় সরবরাহ করা হয়।
তুরস্কে ইফতারি খাদ্য পরিবেশনের কিছু প্রধান উদাহরণ হলো
সুইয়েডি কুফতা মাংস বলদে বানানো মসলা মিশ্রিত কফতা। এটি জারখান্দ বা আলু পুরোটা সহ পরিবেশিত হতে পারে।শিশ কেবাব শিশ কেবাব একটি প্রচলিত তুরস্কি খাদ্য যা মাংসের কিউবস এবং সবজি ব্যবহার করে বানানো হয়।
পিলাফ এটি একটি তুরস্কি রাইস ডিশ যা ভারতীয় পুলাওর মতো। এটি স্বাদে খুবই মিষ্টি এবং আমসমান দাঁতে দাঁতে সেবা করা হয়।
লাভলী এটি একটি মিষ্টি প্রকার যা পরিবেশিত হতে পারে দুধ ঘি মাখন ইত্যাদি হয়ে থাকে।
আরো অনেক দেশ আছে উপরে কয়েকটি দেশের বিবরণ দেওয়া হল।