চুক্তি পত্রের নমুনা pdf । ১০০ টাকার স্ট্যাম্প pdf download
মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে আর্থিক লেনদেন করে থাকে-ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পরিচিতজন বা কাছের মানুষের কাছ থেকে অর্থ ধার কর্জ করে থাকে–বিদেশ যাওয়া বা যে কোন চুক্তিপত্র একই নিয়মে লিখতে হবে- টাকা ধার দেওয়ার চুক্তিপত্র ২০২৪
কর্জ কি? – কর্জ হল একটি অর্থনৈতিক শব্দ যা অর্থ করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ বিনিময়ে নেয়া বা উধার নেওয়া যাক। এটি পরিবারের জন্য হতে পারে যখন একটি ব্যক্তি অন্যকে টাকা বিনিময়ে নেয় এবং সাধারণত একটি সংস্থা বা ব্যবসার জন্য হতে পারে যখন অর্থ লাভ করার জন্য উধার নেওয়া হয়। সাধারণত এই ধরনের ঋণ হল অস্থায়ী এবং এর জন্য সাধারণত কোনও সুদ প্রদান করতে হয়। কর্জ উধার নেওয়া সম্পদ হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হলে অর্থ উপলব্ধি করার সময়কাল বা টার্ম অনুযায়ী সম্পদ পরিশোধের শর্ত এবং সুদের হার উল্লেখ করা হয়।
টাকা ধার দেওয়ার জন্য ক্ষেত্রে বিবেচ্য কি? কোনও নামধারী বা অস্বীকৃত ব্যক্তিকে টাকা ধার দেওয়া উচিত নয়। কোনও ব্যবসা বা কোম্পানি যার সাথে আপনার কোনও সম্পর্ক নেই বা কোনও ধার নেই সেই সম্পদ দখল করতে উচিত নয়। কোনও ব্যক্তি যার টাকা ধার দেওয়ার জন্য সন্দেহজনক সম্পদ অথবা অস্থায়ী অবস্থায় আছে সেই ব্যক্তিকে টাকা ধার দেওয়া উচিত নয়। ধার নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর ক্রেডিট হিসাব অথবা ঋণ হিসাব খাতে মোটামুটি কোনও নিঃশব্দ বা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না থাকলে টাকা ধার দেওয়া উচিত নয়। সম্পদ কিংবা সেবা বিক্রয়ে নিজের আধারে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন বা অল্পসময়ের প্রতিনিধির বিজ্ঞাপনে ভরসা করে টাকা ধার দেওয়া যাবে না।
ইসালামিক নীতিতে কর্জে হাসানা বলতে কি বুঝায়? করজে হাসানার অর্থ হচ্ছে ঋণ বা করজ দেয়া যা সময়মতো পরিশোধ করা হবে, কিন্তু দাতা কোনো অতিরিক্ত অর্থ বেনিফিট নিতে পারবেন না। এর উদ্দেশ্য হল, সমাজের ঋণগ্রস্ত মানুষের একটি প্রয়োজন পূর্ণ করা। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের নানা সময়ে নানা কারণে সাময়িক ঋণ গ্রহণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
ধার বা কর্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে / হাওলাত বা ধার দেওয়ার নিয়ম কি?
ধার দেওয়ার জন্য সঠিক চুক্তি তৈরী করা উচিত। চুক্তিতে লিখিত হতে হবে ধারদার এবং ঋণদাতার নাম, টাকার পরিমাণ, চুক্তিতে উল্লেখিত সুদের হার, মেয়াদ এবং পরিশোধের উপযোগী সময়সীমা। ধার দেওয়ার সময় সুদের হার নির্ধারণ করা উচিত। সাধারণত সুদের হার আবদ্ধ মূল্যের উপর নির্ভর করে উল্লেখিত হয়। এছাড়াও, সুদের হার সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকলে ব্যবহারকারীর পক্ষে পরামর্শ দেওয়া উচিত।চুক্তিতে লিখিত হতে হবে ধারদার ঋণের মেয়াদ বা টার্ম। মেয়াদ শেষ হলে ঋণদাতার দাবি করা যাবে যে টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।
Caption: MS Word File download Link
চুক্তিনামা তৈরির নিয়ম ২০২৪ । টাকা ধার দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিপত্র লেখার জন্য ধাপগুলি অনুসরণ করা উচিত
- প্রথমতঃ, চুক্তিপত্রের উপর স্পষ্টভাবে লিখতে হবে যে ধারণ করা টাকার পরিমাণ কত এবং ধার দেওয়ার কারণ কী।
- দ্বিতীয়তঃ, চুক্তিপত্রে লিখতে হবে যে টাকা ধার দেওয়ার মেয়াদ কত দিন হবে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কী হবে।
- তৃতীয়তঃ, চুক্তিপত্রে লিখতে হবে যে ধার দেওয়ার জন্য কোনও শর্ত আছে কিনা। যেমন, যদি ধার পরিশোধ করা না হয় তবে কোনও বাহকের সাথে কোনও বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে।
- চতুর্থতঃ, চুক্তিপত্রে লিখতে হবে যে ধার পরিশোধের সময় এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা আছে কিনা।
- পঞ্চমতঃ, চুক্তিপত্রে লিখতে হবে যে কোনও উপস্থিত সমস্যার সমাধান জন্য কে দায়ী থাকবে তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
পাওনা টাকা যদি দিতে না চায় তাহলে?
পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আপনাকে দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবে। একজন আইনজীবী এ কাজে আপনাকে সাহায্য করবেন। দেওয়ানী আদালতে পাওনা টাকা ফেরত পেতে আপনাকে মানি স্যুট বা অর্থের মামলা করতে হবে। অন্যদিকে প্রতারণা ও আত্মসাতের জন্য ফৌজদারী আদালতে মামলা করবেন। এক্ষেত্রে মামলা করার পূর্বে অবশ্যই পরিচিত জনদের বা স্বাক্ষীদের নিয়ে বসে মিমাংসার চেষ্টা করতে হবে।
জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প হচ্ছে যে স্ট্যাম্প সাধারণত বিচারিক কাজে ব্যবহার করা হয় সেটা। এটা সাইজে ছোট কম টাকার হয়ে থাকে। অপরদিকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও সাধারণত সরকারি স্টাম্প যা ১০০, ৫০ সহ বিভিন্ন মূল্যের হয়ে থাকে। এই স্ট্যাম্পের উপর চুক্তিপত্র, জমি ক্রয় বা বিক্রয়ের কাজ বা বিভিন্ন দালিলিক কাজ করা হয়।