এইমাত্র পাওয়া

প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপ ২০২৩ । বিজয়ী হলে এস.এম.এস ও ই-মেইলের মাধ্যমে জানা যাবে?

আপনার যদি কিছু প্রাইজবন্ড থাকে তবে আপনি অল্প কিছু অর্থ খরচ করে প্রতি ৩ মাস পর পর চেক করার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারে – অটোমেটিক যাচাই করা হয় বিধায় মিস হওয়ার সুযোগ নেই – প্রাইজবন্ড চেকিং অ্যাপ ২০২৩

প্রাচুর্য ডট কম কি করে? –প্রাচুর্য্য.কম একটি অটোমেটেড সিস্টেমে Prize Bond Checker। এখানে যে কোন বাংলাদেশী জনগন তার প্রাইজবন্ড’র নাম্বার সংরক্ষন করতে পারবেন। Prize Bond Draw Result Check ও “ড্র”র ফলাফলের সাথে নিজের প্রাইজবন্ডের নাম্বার মিলিয়ে দেখতে পারবেন। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সরকারের একটি অন্যতম সেক্টর Prize Bond এর সুফল সবার মাঝে পৌঁছে দেয়া।

প্রাইজবন্ডের মেয়াদ কত দিন? প্রাইজবন্ড অনেকটা লটারির মতো কিন্তু লটারি না। লটারি যেমন একবার ”ড্র” হয়ে গেলে সেটার আর মেয়াদ থাকেনা। লটারিটির মূল্যও থাকেনা। লটারিতে না জিতলে পুরো টাকাটাই লস। তাই লটারি হারাম। এদিকে প্রাইজবন্ড এর ”ড্র” হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয়না। পরবর্তী ”ড্র” এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে, অর্থাৎ প্রাইজবন্ডের মেয়াদ কখনো শেষ হয়না। তবে একবার যে নাম্বার পুরস্কার জন্য বিজয়ী হবে সেই নাম্বারটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। ১০ টাকা ও ৫০ টাকা মুল্যমানের প্রাইজবন্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ১৯৯৫ সালে, ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড চালুর পর থেকে। কারো সংগ্রহে ১০ টাকা ও ৫০ টাকা মুল্যমানের প্রাইজবন্ড থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন অফিসে ফেরত দেয়া যায়। বন্ডের মূল্যমান অনুযায়ী বন্ডের বিনিময় মুল্যে নগদ অর্থে পরিশোধ করা হয়।

সাধারণ জনগণ কি আসলে প্রাইজবন্ড পায়? হ্যাঁ। ঢাকা জেলার বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক (২) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা (৩) জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক (৩) বিপুল পরিমানে সংবাদ কর্মী ও সাধারণ জনগন উপস্থিত থাকে। একেকটি পুরস্কারের ৬টি নাম্বারের জন্য ৬ বার ড্রাম ঘুড়িয়ে গুটি উত্তোলন করা হয়। প্রাইজবন্ডের ড্র যেহেতু একক সাধারণ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় সেহেতু প্রতি সিরিজের ৪৬টি নাম্বারের জন্য ২৭৬ বার ড্রাম ঘুড়িয়ে গুটি উত্তোলন করা হয়। এখন পর্যন্ত প্রাইজবন্ডের যতগুলো ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে তার কোনটিতেই অনিয়মের কোন ঘটনা ঘটে নাই। তবে, বাজারে একটি কথা প্রচলিত আছে, শুধুমাত্র ব্যাংকের লোকেরাই প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পায়। কথাটি কতটুকু সত্য, আসুন আমরা একটু ডিপ ডাউন আলোচনা করি।

Prachurja । Prize Bond checker । www.bb.org.bd prize bond result

প্রাইজবন্ড হল টাকার মতো, এর বাহকই এর ধারক, অর্থাৎ প্রাইজবন্ড যার কাছে থাকবে, তিনিই এর পুরস্কারের দাবীদার হবেন। প্রাইজবন্ড কেনার জন্য সরকার কারো উপর কোন প্রকার বিধি নিষেধ আরোপ করে না, যে কেহ নগদ টাকার বিনিময়ে প্রাইজবন্ড কিনতে পারবেন। প্রমানীত সত্য যে যার কাছে যতবেশী প্রাইজবন্ড থাকবে, তার পুরস্কার পাবার সম্ভবনা ততবেশী। আগেই বলেছি, ড্র অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম ঘটে না, তাই ব্যাংকের লোকেরা বেশী বেশী পুরস্কার পায়, এই কথাটি একেবারেই অসত্য। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

Caption: Prachurja.com APP

Prize bond check online । Prize Bond Draw 2023 । প্রাইজবন্ড চেক করার নিয়ম

  1. প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয় বছরে ৪ বার। এই ড্র অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে যেকোন সময় প্রাইজবন্ড কেনা যায়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেজেটে বলা আছে “বন্ডে নির্দেশিত বিক্রির তারিখ হতে নুন্যতম ০২ (দুই) মাস অতিক্রমের পর উক্ত বন্ড ড্র’র আওতায় আসবে”।  
  2. মোটা দাগে বলতে গেলে কেনাবেচার প্রকারভেদে প্রাইজবন্ড দুই প্রকার (১) পুরাতন প্রাইজবন্ড এবং নতুন প্রাইজবন্ড।বাংলাদেশ ব্যাংক বাদে অন্য সকল বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সাধারনত পুরাতন প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ কেহ প্রাইজবন্ড কেনার পর, কিছুদিন বাদে ব্যংকে বিক্রয় করে দেয়। ব্যাংক সমূহ পূনরায় সেই প্রাইজবন্ড অন্য কোন গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করে। বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহ যে প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে সেইগুলোর গায়ে যে তারিখ লেখা থাকে, সেই তারিখ সাধারনত বেশ কিছুদিন আগের হয়ে থাকে।
  3. অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন প্রাইজবন্ড বিক্রয় করে থাকে, অর্থাৎ প্রাইজবন্ডের গায়ে কেনার দিনের তারিখ লেখা থাকে। আবার আসি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যাজেটের কথায় “বন্ডে নির্দেশিত বিক্রির তারিখ হতে নুন্যতম ০২ (দুই) মাস”। বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করছি, আপনি কবে প্রাইজবন্ড কিনেছেন “ড্র’র ক্ষেত্রে” সেইটা ম্যাটার করবে না, প্রাইজবন্ডের গায়ে যে তারিখ লেখা থাকে সেইটাই হল মূখ্য বিষয়। সেই তারিখ হতে দুই মাস অতিক্রম হতে হবে।
  4.   একটি উদাহরনের মাধ্যমে পরিস্কার করার চেষ্টা করছি। গফ ০৭১৩০৪৬ নাম্বারটি ১০৯তম ড্র’তে ৫ম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিল। প্রাইজবন্ডটি বিক্রয় হয়েছে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে এবং ১০৯ তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১শে অক্টোবর ২০২২ তারিখে। প্রাইজবন্ড এবং ড্র অনুষ্ঠানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হল ১ মাস ২৪ দিন। দুই মাস পুর্ণ না হবার করনে ফাইনালি এই প্রাইজবন্ডটি পুরস্কার পাবে না। এই বিশ্লেষণের সারকথা হলঃ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড কিনলে আপনাকে ড্র’র জন্য দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। বানিজ্যিক ব্যাংক থেকে পুরাতন প্রাইজবন্ড কিনলে দুই মাস অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।

একবার পে করলেই কি হবে?

হ্যাঁ। ওয়ানটাইম পেমেন্ট করলেই সমস্ত প্রাইচবন্ড চেক করবে প্রাচুর্য.কম। প্রাচুর্য ডট কম একটি অটোমেটেড সিস্টেমে প্রাইজবন্ড চেকার হিসেবে কাজ করে। এখানে যে কোন বাংলাদেশী জনগন তার প্রাইজবন্ডের নাম্বার সংরক্ষণ করতে পারবেন।২০ বছর পূর্বের যেকোন “ড্র”র ফলাফলের সাথে নিজের প্রাইজবন্ডের নাম্বার মিলিয়ে দেখা যাবে। বিজয়ী হলে এস.এম.এস ও ই-মেইল এর মাধ্যমে জানা যাবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সরকারের একটি অন্যতম সেক্টর প্রাইজবন্ড এর সুফল সবার মাঝে পৌঁছে দেয়া হয়। ভয় পাওয়ার কারণ নেই যে, ওয়েবসাইট টাকা নিয়ে উদাও হয়ে যাবে কারণ গত ৫ বছর ধরে প্রাচুর্য ডট কম টিকে আছে।

এখনই প্রাচুর্য ডট কমে রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন: ক্লিক নাউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *