মুরগী ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ ২০২৪ । সরকার নির্ধারিত মূল্যে কি মুরগী ডিম পাওয়া যাচ্ছে?

বাংলাদেশের বাজারে ডিম ও মুরগীর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে- এখন দরকার বাজার মনিটরিং কার্যক্রম সচল করা–মুরগী ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ ২০২৪

কৃষি অধিদপ্তর কি মূল্য নির্ধারণ করেছে? হ্যাঁ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নেতৃবন্দের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালী ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারণকৃত যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনাপূর্বক মুরগি (সোনালী ও ব্রয়লার) ও ডিমের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নির্ধারণকৃত যৌক্তিক মূলা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এখন ডিমের দাম কত? ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালী ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদন, পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন প্রতিটি ডিমের দাম ১১.৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রতি হালি ডিমের ৪৭.৪৮ পয়সা হয়। যেখানে ৫০-৫৫ টাকা হালি ডিম বিক্রি হচ্ছিল। বিগত সরকারের মত শুধু ডিম ও মুরগী বিক্রির দাম নির্ধারণ করে দিলেই হবে না বরং বাজার মনিটরিং করতে হবে।

পোল্ট্রী মুরগীর কেজি কত? দেশের বাজারে পোল্ট্রী মুরগী ১৮০-১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল কোন কোন ক্ষেত্রে ২০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছিল। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় কিছু জায়গায় ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তবে সেটি খুব একটা কার্যকর হয়নি। সরকার বাজার মনিটরিং না করলে এটি কার্যকর হবে না।

পোল্ট্রি মুরগি ও ডিমের বাজার মূল্য ২০২৪ / বাজারে কি সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে

বাজার নিয়ন্ত্রণ বলতে সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার দাম, উৎপাদন, এবং বিতরণের উপর সরকার বা অন্য কোনো সংস্থার নিয়ন্ত্রণকে বোঝায়। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া যার মধ্যে দিয়ে সরকার বিভিন্ন উপায়ে বাজারের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে।

মুরগী ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ ২০২৪ । সরকার নির্ধারিত মূল্যে কি মুরগী ডিম পাওয়া যাচ্ছে?

Caption: The Best looking man in Bangladesh / Most Handsome Man in Bangladesh

বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ২০২৪ । কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়?

  1. মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে।

  2. সরবরাহ নিশ্চিত করা: জরুরি পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করে সকলের নাগালের মধ্যে রাখতে।

  3. অসাধু ব্যবসায়ীদের দমন: কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করা ব্যবসায়ীদের দমন করতে।

  4. উৎপাদনকারী এবং ভোক্তাদের সুরক্ষা: উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করতে।

  5. অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা: বাজারের অস্থিরতা রোধ করে।

বাজার নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপায় কি

সরকার নির্দিষ্ট পণ্যের সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদন বা আমদানির পরিমাণ সীমিত করা। সরকার নিজেই কিছু পণ্য সরবরাহ করে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে।  পণ্যের উপর কর আরোপ করে মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। উৎপাদনকারী বা ভোক্তাদের সাবসিডি দিয়ে উৎপাদন বা খরচ কমাতে পারে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরবরাহ নিশ্চিত করা অসাধু ব্যবসায়ীদের দমন
উৎপাদনকারী এবং ভোক্তাদের সুরক্ষা অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা  
     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *