এইমাত্র পাওয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পয়েন্ট সিস্টেম: কী জানা প্রয়োজন?

ঢাকা, নভেম্বর ১০, ২০২৫: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (National University – NU) শিক্ষাব্যবস্থায় গ্রেডিং পয়েন্ট সিস্টেম (Grading Point System) একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে। সম্প্রতি প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গ্রেডিং পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হলো, যা শিক্ষার্থীদের ফলাফলের স্তর এবং বিভাগ নির্ধারণ করে।


গ্রেডিং সিস্টেমের কাঠামো

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্রেডিং পদ্ধতিটি প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে গ্রেড পয়েন্ট (GP), লেটার গ্রেড (LG), এবং বিভাগ (Division) নির্ধারণ করে।

  • সর্বোচ্চ মানদণ্ড: কোনো শিক্ষার্থী ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পেলে তাকে সর্বোচ্চ ‘A+’ লেটার গ্রেড এবং ৪.০০ গ্রেড পয়েন্ট দেওয়া হয়, যা ‘First Class’ বা প্রথম বিভাগ নির্দেশ করে।
  • প্রথম বিভাগ: ৬০ থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত সকল ফলাফলই ‘First Class’ বা প্রথম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই সীমার মধ্যে অন্যান্য গ্রেড ও পয়েন্টগুলো হলো:
    • ৭৫-৭৯: ‘A’, ৩.৭৫
    • ৭০-৭৪: ‘A-‘, ৩.৫০
    • ৬৫-৬৯: ‘B+’, ৩.২৫
    • ৬০-৬৪: ‘B’, ৩.০০
  • দ্বিতীয় বিভাগ: ৪৫ থেকে ৫৯ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ‘Second Class’ বা দ্বিতীয় বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই স্তরের গ্রেড ও পয়েন্ট হলো:
    • ৫৫-৫৯: ‘B-‘, ২.৭৫
    • ৫০-৫৪: ‘C+’, ২.৫০
    • ৪৫-৪৯: ‘C’, ২.২৫
  • তৃতীয় বিভাগ: ৪০ থেকে ৪৪ নম্বর পেলে তা ‘D’ লেটার গ্রেড, ২.০০ গ্রেড পয়েন্ট এবং ‘Third Class’ বা তৃতীয় বিভাগ হিসেবে গণ্য হয়।

ফেল বা অনুত্তীর্ণ

  • অনুত্তীর্ণ (Fail): যে সকল শিক্ষার্থী ০ থেকে ৩৯ নম্বর পাবে, তাদের ‘F’ লেটার গ্রেড এবং ০.০০ গ্রেড পয়েন্ট প্রদান করা হয়, যা সরাসরি ‘Fail’ হিসেবে বিবেচিত।

এই গ্রেডিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের ফলাফলকে একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উপস্থাপন করে থাকে। এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের তাদের একাডেমিক অবস্থান বুঝতে এবং উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *