জমি খারিজ করার নিয়ম 2024 । মিউটেশন বা নামজারি করতে যে সকল ডকুমেন্ট লাগে
জমি নামজারি বা মিউটেশন অর্থ হলো বর্তমানে থাকা খতিয়ান থেকে নতুন মালিকের নাম সংযোজন করে নতুন একটি খতিয়ান তৈরি যা নতুন মালিকানা নির্দেশ করে–জমি খারিজ করার নিয়ম 2024
১ম ধাপঃ সকল ডকুমেন্ট নিয়ে mutation.land.gov.bd প্রবেশ করে নাগরিক/কম্পিউটার কর্ণার থেকে অনলাইনে আবেদন করবেন। একটা আইডি নাম্বার পড়বে বা কেস নাম্বার এটা আপনার মোবাইলে সাথে সাথে এসএমএস পাবেন।
২য় ধাপ: আবেদন ফাইল কপি ইউনিয়ন ভূমি অফিস এ যাবে তদন্তে আপনার সব কিছু ঠিক থাকলে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রস্তাব পাঠাবে উপজেলা ভূমি অফিসে।
৩য় ধাপ: এসিল্যান্ড অফিস আপনাকে একটি শুনানির তারিখ দিবে এসএমএসের মাধ্যমে। কাজ সম্পন্ন হলে তারপর ডিসিআর ফি দিয়ে দুই একদিন পর অনলাইনে কিউআর কোডযুক্ত নামজারি তুলতে পারবেন। নামজারি প্রক্রিয়া শেষ হতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে। মোট খরচ হবে ১১৭০ টাকা।
৭-১০ দিনের মধ্যে খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায় / নামজারির প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করলে ২৮ দিনই সময় লাগবে
নামজারি খতিয়ান আবেদন বিষয়ক তথ্যের জন্য কলসেন্টারের 16122 নম্বরে অথবা ভূমিসেবা সংক্রান্ত সমস্যা জানানোর জন্য hotline.land.gov.bd লিংক ব্যবহার করুন।
Caption: https://mutation.land.gov.bd/
জমি নামজারির প্রক্রিয়া ২০২৪ । নামজারি করার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যা যা লাগে
- জমির দলিল এর সার্টিফাইড কপি/মূল কপি।
- এস এ খতিয়ান, আর এস খতিয়ান বা যে খতিয়ান থেকে দলিল হয়েছে সেইটার কপি।
- ওয়ারিশান সনদ (হাল) এর কপি যদি ওয়ারিশ সম্পত্তি হয়।
- ছবি (যদি জন্ম নিবন্ধন দিয়া নামজারী হয়)।
- বায়া দলিল এর কপি যদি প্রয়োজন হয়।
- মোবাইল নাম্বার।
- এনআইডি/জাতীয় পরিচয়পত্র।
- কর/খাজনার রশিদ।
জমি খারিজ কেন করতে হয়?
জমি খারিজ বা নামজারি করার প্রধান কারণ হলো ভূমি রেকর্ডগুলোকে সর্বদা হালনাগাদ রাখা। যখন জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়, যেমন ক্রয়-বিক্রয়, দান, উত্তরাধিকার ইত্যাদির মাধ্যমে, তখন সরকারি রেকর্ডে এই পরিবর্তনটি প্রতিফলিত করার জন্যই খারিজ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়। খারিজের মাধ্যমে জমির আসল মালিক কে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা যায়। এটি ভবিষ্যতে কোন ধরনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ এড়াতে সাহায্য করে। খারিজ করা জমির মালিক আইনত নিরাপদ থাকেন। অন্য কেউ তার জমির দাবি করতে পারবে না। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে খারিজ করা জমি জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যায়। জমি বিক্রয় করার সময় খারিজ করা জমি সহজে বিক্রয় করা যায়। কারণ ক্রেতা নিশ্চিত থাকে যে জমিটি কোন ধরনের জটিলতামুক্ত। অনেক সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য খারিজ করা জমির প্রয়োজন হয়।Esharat Hossain
সবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছেন বাস্তব কাজ দুইটা উপায় ছাড়া হয় না একটা তাদের চাহিদা মত টাকা দ্বিতীয় টা যদি প্রভাব প্রতিপত্তি থাকে তাহলে দ্রুত কাজ হয় তা না হলে শুধুই আপত্তি শুধুই আপত্তি এই কাজ কখনো বাস্তবে রূপ পাবে না।
|
Mizan Mizan
নাম জারির জন্য অন লাইন আবেদন শুধু শুধু এসি ল্যান্ড অফিসের কানুনগো এবং সারভেয়ার
এদের সাথে যোগাযোগ না করলে এসি ল্যান্ড কে ভুল বুঝিয়ে (যেমন বলবে আপনার জমির পরিমাণ এর সমস্যা আছে, রেকর্ড এত জমি নেই বলে শুনানি খারিজ করে দেয়। শুনানির দিন যোগাযোগ করলে সব ঠিক। টাকা ছাড়া কোন কাজ করে না। এখন লেনদেন হয় বিকাশে।
|
1 Line English
Follow
বাংলাদেশে আইন হয় সংসদে,
আর নিয়ম তৈরি হয় সরকারি অফিসে।
সুতরাং এই পদ্ধতি সহজ, কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন।
|
HM Akterujjaman
আমাদের গৌরনদী উপজেলা, বরিশাল এ একদিনেই মিউটেশন এর সুবিধা গ্রহণ করেছে প্রায় ৫০জন আবেদনকারী। অাজ ৭ নভেম্বর এসি ল্যান্ড সাহেবের তত্ত্বাবধানে মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যেই ই-নামজারি হাতে পেলাম।
|
Parimal Biswas
ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুষ খাবার জন্য প্রেরিত কাগজপত্রে ইচ্ছাকৃত ভুল সৃষ্টি করে, আপত্তির শেষ থাকে না। প্রথমবার আবেদন করার পর ম্যাসেজ পেলাম আপনার আবেদন না মন্জুর হয়েছে। কিন্তু কি কারনে না মন্জুর হয়েছে তা জানানো হয় নি। কারন না জানতে পারলে পরবর্তী আবেদন কিভাবে সংশোধন করে করবো।
|
Sayed Rakibul Hasan
জমির বিআরএস মাঠ পর্চা করে গেছে ২০০৮ সালে কিন্তু জমি ক্রয় করি ২০০৯ সালে তখনও বিআরএস পর্চা কার্যকর হয়নি এবং জমির খারিজ করি ২০১০ সালে আর ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত জমির নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি। এখন ২৪-২৫ সালের খাজনা দিতে গিয়ে দেখি খাজনা নেয় না কারণ হিসেবে বলে
|