ভূমি নিবন্ধন বহিতে মালিকানা হিস্যা ২০২৪ । জমি রেজিস্টারে কার নামে কতটুকু হিসাব জানুন
জমির হিসাব জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্বর্ণের পরই আসে ভূমির গুরুত্ব-তাছাড়া নিজের অথবা পিতার সম্পত্তি বুঝে নিতেও আপনাকে জমির হিসাবের খুটিনাটি জানতে হবে–ভূমি নিবন্ধন বহিতে মালিকানা হিস্যা ২০২৪
দলিল করার সময় তারাহুরো কেন করবেন না? –নিবন্ধন আইন ধারা-৪৭ ও দলিল সম্পাদনের তারিখ হতে দলিল কার্যকর হবে। দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ হতে দলিল কার্যকর হবে না। নিবন্ধন আইন ধারা-৩৫ রেজিস্ট্রার যদি দেখেন দলিলের স্ট্যাম্প শুল্ক কম দেখানো হয়েছে অথবা দলিল দাতা পাগল তখন রেজিস্ট্রার দলিল রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকার করতে পারেন। নিবন্ধন আইন ধারা-৩২ দলিল সম্পাদনের পর ক্রেতা মারা গেলে ক্রেতার সন্তান দলিল উপস্থাপন করবেন। ক্রেতা অসুস্থ বা জেলে থাকলে আইনজীবী দলিল উপস্থাপন করবেন।
জমি, ফ্লাট বা প্লট ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিলকে সাফ কবালা বা বিক্রয় দলিল বলে। রেজিস্ট্রেশন ফি- হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা। দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)। স্টাম্প শুল্ক- হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১.৫% টাকা। দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে।
অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে কত দিনের মধ্যে পর্চা পাওয়া যায়? সেখানে জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন বাটনে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট ফর্মটি পাওয়া যাবে। জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন করা যায় দু’ভাবেঃ ক) জরুরি ডেলিভারীঃসময় লাগে সাধারনত ০৩ কার্যদিবস। সাধারন ডেলিভারী- সময় লাগে লাগে ৭-১০দিন। খতিয়ান(পর্চা) টি ডাকযোগে পেতে নির্ধারিত কলাম পূরণ করতে হবে। আবেদনের সাথে নির্ধারিত কোর্ট ফি জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট ই-সেবাকেন্দ্র থেকে ক্রয় করে আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে জেলা সেবা কেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে। এছাড়াও আবেদনের সাথে কোর্ট ফি সংযুক্ত করে ডাকযোগে জেলা ই-সেবাকেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট খরচঃখতিয়ান উত্তোলন ফিঃ জরুরিঃ কোর্ট ফি-২০ টাকা, ডেলিভারী ফি-২ টাকা।সাধারণ কোর্ট ফি- ১০ টাকা, ডেলিভারী ফি- ২ টাকা।
ভূমি অফিসের রেজিস্টার যেটিতে খাজনার হিসাব লিপিবদ্ধ থাকে সেখানে জমির হিসাবও উল্লেখ করা থাকে / হাফিজ উদ্দিন এর জমি আছে ২০.৬ শতাংশ আর বাকিটুকু আরেকজনের।
জমির পরিমাণ ৫৫ শতাংশ এর মধ্যে জমি দুটি রয়েছে একটি ৩৫ শতাংশ এবং অন্যটি ২০ শতাংশ। এখন আমরা অংশ বের করবো। হিস্যা বা অংশ ১০০ তে হিসাব করা হয় সে হিসাবে হাফিজ উদ্দিন= ২০.৬২৫ শতাংশ এবং কেমন জান বেগম= ৩৪.৩৭৫ শতাংশ।
Caption: land office register for Land Verification
ভূমি সরকারি হওয়ার কারণ । ঠিক কি কি কারণে জমি খাস বা সরকারি স্বত্বে চলে যায়?
- উপধারা-(১) জোতে কোন রায়তের স্বত্বের পরিসমাপ্তি ঘটিবে- (ক) যেক্ষেত্রে তিনি যে আইনের অধীনে হউক সেই আইনের বিধান অনুযায়ী সম্পত্তি পাইবার জন্য উত্তরাধিকারী না রাখিয়া বা সম্পত্তির জন্য কোনো প্রকার উইল সম্পাদন না করিয়া মারা যান ।
- (খ) যেক্ষেত্রে তিনি কোনো কৃষি বৎসরের শেষে নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় মধ্যে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব অফিসারের কাছে তাহার জোত সমৰ্পণ করিয়া ইস্তফা দেন;
- (গ) যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়া স্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারী অথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বৎসরকাল পর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন;
- (ঘ) যেক্ষেত্রে যে আইনের অধীন আইন অনুযায়ী কোনো রায়তের উপর কোনো ভূমির স্বত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ন্যস্ত হয়, যিনি নিজে প্রকৃত চাষী নহেন ও যিনি নিজে অথবা তাহার পরিবারের লোকজন, কর্মচারী বা বর্গাদারগণের সহায়তায় একনাগাড়ে পাঁচ বৎসর কাল যাবত্ চাষাবাদ করিতে ব্যর্থ হন বা ঐরূপ চাষাবাদ না করার কোনো সন্তোষজনক কারণ নাই;
- উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে (১) নং উপধারায় কোনো জোত কোনো রায়তের স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যে তারিখে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করেন সেই তারিখ হইতে জোতটি উক্ত উপধারার ক অনুচ্ছেদের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে । কিন্তু জোতসমূহে যে সমস্ত ব্যক্তিগণের স্বার্থ উক্ত (খ), (গ) ও (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলুপ্ত হয় তাহারা উক্ত জোতসমূহের উপর সৃষ্ট দায়সমূহের টাকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবন ।
- উপধারা-(৩) (২) উপধারা অনুযায়ী কোনো জোতে প্রবেশের পূর্বে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করার তাহার ইচ্ছা ও ইহার কারণ জোতে স্বার্থ আছে এমন সকল ব্যক্তির নিকট নোটিশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপত্তি আহবান করিয়া নির্দিষ্ট নিয়মে নোটিশে প্রদান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত রেকর্ড করিবেন ।
- উপধারা-(৪) (১) উপধারার ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোতে স্বার্থ বিলুপ্তির কোনো রায়তের আপত্তির পর (৩) উপধারায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি ১৪৭ ধারায় আপিল না করিয়া ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।
DCR কি?
ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে। যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযােগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মােতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।