স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ২০২৫ । সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারের তালিকায় কি কি থাকবে?
দেশের ৬২টি জেলার ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। শিক্ষার্থীদের সার্বিক পুষ্টিমান এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আগামী জুলাই থেকে অথবা আগস্ট মাসের মধ্যে এটি আরম্ভ হবে – স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ২০২৫
আগামী মাস হতেই খাওয়াবে? হ্যাঁ। স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চলমান থাকলে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি বৃদ্ধিতে, সুস্থ, মেধাবী ও আলোকিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম করে গড়ে তুলতে সর্বোপরি শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক—সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হোক।
নিয়মিত স্কুলে যেতে হবে? স্কুল ফিডিং কর্মসূচি হল একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল শিশুদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়া কমানো এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করা। এই কর্মসূচিতে সাধারণত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুরা উপকৃত হয়।
কেন ফিডিং কর্মসূচী? শিশুদের স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়ায় এবং নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে উৎসাহিত করে। পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবার পেলে শিশুরা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে পারে। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার কমায় এবং তাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। শিশুরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকলে ঝরে পড়ার সম্ভবনা কমে যায়। শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে একটি সুস্থ প্রজন্ম গঠনে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন সময়ে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার সরবরাহ করা হয়। যেমন- ডিম, বিস্কুট, দুধ, রুটি, ফল ইত্যাদি। বর্তমানে, দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় এই কর্মসূচি চালু আছে এবং পর্যায়ক্রমে আরও বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।
খাদ্য কর্মসূচী সবার জন্য প্রযোজ্য নয় / সবার জন্য কি ফিডিং কর্মসূচী?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ বাস্তবায়নে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা এ বরাদ্দ ঘোষণা করেন।
Caption: Full School List Download Link
বিদ্যালয়ে খাদ্য তালিকা ২০২৫ । স্কুলে খাবার কি কি দেওয়া হয়েছে?
- প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবারে একটি ডিম এবং ১২০ গ্রামের একটি বান থাকবে।
- এ ছাড়া প্রতি সোমবার ২০০ এমএল ইউএইচটি দুধ ও একটি ১২০ গ্রামের বান পাবে, প্রতি বুধবার ৭৫ গ্রাম বিস্কুট ও ১০০ গ্রাম সাইজের একটি কলা অথবা মৌসুমি ফল পাবে শিশুরা।
- সাপ্তাহিক খাদ্য তালিকায় এনার্জি ২৫.৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ৩২.২ শতাংশ, প্রোটিন ১৬.৪ শতাংশ এবং ফ্যাট ২১.৭ শতাংশ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ধনী গরীব সবাই কি স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায়?
না, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় সবাই সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। এই কর্মসূচি মূলত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা অপুষ্টির শিকার হতে পারে। তবে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং ধনী-গরিব সবার মধ্যে শিক্ষার সুযোগের সমতা আনতে সহায়তা করার কথাও বলা হয়েছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টির অভাব পূরণ করা এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করা। স্কুলে শিশুদের উপস্থিতি ও শিক্ষায় মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করা। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা। স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করা। যদিও এই কর্মসূচি মূলত দরিদ্র শিশুদের জন্য, তবে এটি পরোক্ষভাবে সকল শিশুর জন্য শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে সাহায্য করে।