US Visa Status Check 2024 । দেশে বসে কি আমেরিকান ভিসা চেক করা যায়?

বাংলাদেশ থেকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই-ট্র্যাবেল পড়াশুনা এবং উন্নত শিক্ষার জন্য ইউএসএ যাওয়া যায়-এছাড়াও অন্যান্য উপায় রয়েছে– US Visa Status Check 2024

আমেরিকান ভিসা চেক করার নিয়ম কি?  অনলাইনে আমেরিকা ভিসা চেক করার জন্য ভিজিট করুন US State Department এর ওয়েবসাইট US Visa Status Check  এবং সাইটে গিয়ে ভিসার ধরণ (Immigrant/ Nonimmigrant) সিলেক্ট করুন। Visa Case Number লিখুন (যেমন MTL1999789045) এবং Captcha Code দিয়ে Submit করুন। ব্যাস কাজ শেষ।

কর্মসংস্থানভিত্তিক কাজের  উপায় নাই?   আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান আপনাকে সেখানে কাজের সুযোগ দিয়ে যদি অফার লেটার পাঠান তাহলে আপনি ভিসা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানকে আগে দেশটির ‘ডিপার্টমেন্ট অব লেবার’ (ডিওএল) থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে আমেরিকা প্রতি বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ভিসা দিয়ে থাকে।

পরিবার বা স্পাউস বা বিয়ে করে যেতে হবে?  আমেরিকায় যদি আপনার পরিবার বা আইনগতভাবে বৈধ সঙ্গীর নাগরিকত্ব থাকে তাহলে আপনি সহজেই ভিসা পেতে পারেন। আমেরিকার যেকোনো নাগরিক তার সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যকে সেখানে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। আমেরিকান কোনো নাগরিকের সঙ্গে আপনার বাগদান হলেও আপনি সেখানে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন। তবে বাগদান বৈধভাবে হতে হবে এবং বাগদানের পর অন্তত দুই বছর পার হতে হবে। এরপর আপনার যার সঙ্গে বাগদান হয়েছে তিনি আপনাকে আমেরিকা নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমবার আপনি কমপক্ষে ৯০ দিনের ভিসা পাবেন। বাগদত্ত/বাগদত্তা ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে USVISAS.STATE.GOV ঠিকানায় গিয়ে বাগদত্ত/বাগদত্তা ভিসা প্রক্রিয়া অপশনে ঢুকে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।

উচ্চশক্ষি বা পড়াশোনার জন্য আমেরিকা যাওয়া যায়? পড়াশোনার জন্য আপনি আমেরিকার ভিসা পেতে পারেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় আপনি সেখানে থাকার স্থায়ী অনুমতি পাবেন না। তবে পড়াশোনার সময়ে আপনি আপনার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির প্রস্তাব পেলে ফিরে এসে আবার যেতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে । অবৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

আপনার ভিসার আবেদন অনুমোদিত হলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে, কখন এবং কীভাবে আপনি আপনার পাসপোর্ট ও ভিসা ফেরত পাবেন। usvisas.state.gov ঠিকানায় গিয়ে বাগদত্ত/বাগদত্তা ভিসা অপশনে ঢুকে বিশেষ করে ভিসা পেলে, যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সময় কী করতে হবে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সতর্কভাবে দেখে নিতে হবে। আপনার সাক্ষাৎকারের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ পেতে অনুগ্রহপূর্বক আমাদের ওয়েবসাইট http://www.ustraveldocs.com/bd/bd-iv-kvisa.asp ভিজিট করুন।

Caption: Check Your Visa now

Bangladesh to USA 2-24 । বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় কি? যারা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে চাকরির ভিসা পেতে আগ্রহী তারা ইবি সিরিজের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত ক্যাটাগরিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন।

  • ইমপ্লয়মেন্ট-বেজড ইবি-১: এর মধ্যে কয়েকটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। যেমন, কোনো বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা ও বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা। এছাড়াও গবেষণাক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা থাকলে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য ভিসা পাওয়া যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়।
  • ইমপ্লয়মেন্ট-বেজড ইবি-২: কোনো ব্যক্তির যদি কোনো ব্যতিক্রমী দক্ষতা বা উচ্চতর শিক্ষা থাকে তাহলে তিনি স্থায়ী চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষতার ভিত্তিতে আপনার কাছে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে।
  • ইমপ্লয়মেন্ট-বেজড ইবি-৩: এই ক্যাটাগরিতে দক্ষ কর্মী বা দক্ষ প্রফেশনাল ব্যক্তিরা ভিসা পেতে পারেন। তবে দক্ষতার বিষয়ে আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে। কিন্তু এই বিষয়ে আমেরিকায় কর্মী পাওয়া সহজ কিনা বিষয়টি যাচাই করে নেবেন। কারণ এ বিষয়ে সেখানে দক্ষ জনবল থাকলে আপনি ভিসা পাবেন না।
  • ইমপ্লয়মেন্ট-বেজড ইবি-৪: বিশেষ অভিবাসীদের ভিসা দেয় আমেরিকা। দেশটির ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট (আইএনএ) উল্লেখিত বিষয়গুলোতেই অভিবাসীরা স্থায়ীভাবে চাকরির ভিসা পেয়ে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে- ন্যাটোর সাবেক কর্মী বা ন্যাটোর সাবেক কর্মীর স্পাউস, চিকিৎসক, স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, ইরাক ও আফগানিস্তানের ভাষা জানেন এবং ইংরেজি অনুবাদ করতে পারেন এমন ব্যক্তি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা কর্মী অন্যতম। আবার এর জন্য কোনো চাকরির অফার লেটার দরকার হয় না।
  • ইমপ্লয়মেন্ট-বেজড ইবি-৫: আপনার যদি আমেরিকা গিয়ে উদ্যোক্তা হবার মতো অর্থ থাকে তাহলে ভিসা পেতে পারেন। তবে এই ক্যাটাগরিতে আপনাকে ভিসা পেতে হলে সেখানে গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ১০ জন আমেরিকানকে চাকরি দেয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে। এমনকি কমপক্ষে ৫ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

ইউএস ভিসা আবেদনের অবস্থা জানার উপায় কি?

অভিবাসন ভিসার জন্য নির্ধারিত সাক্ষাৎকার শেষে কনস্যুলার কর্মকর্তা আপনাকে জানিয়ে দেবেন, আপনার ভিসার আবেদন অনুমোদিত নাকি নাকচ হয়েছে। কিছু ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্য আরও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া থাকে। যার কারণে অতিরিক্ত সময় লাগে। আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হওয়ার পরও ওই প্রক্রিয়া শেষ করতে কনস্যুলার কর্মকর্তার সময় প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে অবশ্য আবেদনকারীকে আবেদন করার সময়েই জানিয়ে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়। যখন প্রশাসনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তখন আসলে বিষয়টি সমাধানের সময়ের বিষয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি ceac.state.gov ঠিকানায় গিয়ে আপনার আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতে পারেন। আপনার আবেদন যদি নাকচ হয়ে যায়, তাহলে আপনি usvisas.state.gov ঠিকানায় গিয়ে অযোগ্যতা ও ভিসা অব্যাহতির অপশনে ঢুকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *