এইমাত্র পাওয়া

নতুন আদেশ অনুযায়ী আপনার মায়ের পুনঃপেনশন সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।

আপনার বাবা ২০০১ সালে শতভাগ পেনশন সমর্পণ করেছিলেন এবং ২০০৮ সালে মারা যান। নতুন নিয়মে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যদি অপেক্ষার সময়সীমার মধ্যেই কোনো পেনশনভোগীর মৃত্যু ঘটে, তবে তার স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারী পেনশন সুবিধা পাবেন।

আপনার বাবা ২০০১ সালে সমর্পণ করার পর তাঁর মৃত্যু ২০০৮ সালে, অর্থাৎ সমর্পণের ৭ বছর পর। নতুন নিয়মে যেহেতু মৃত্যুর পরও উত্তরাধিকারীর জন্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে এবং আপনার বাবার মৃত্যুর আগে ১০ বছর পূর্ণ হয়নি, তাই আপনার মা পুনঃপেনশন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।

তবে, যেহেতু এটি একটি নতুন সরকারি আদেশ, সুবিধাটি পেতে হলে আপনার মাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে এবং আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।


পেনশন পুনর্বহালে বড় পরিবর্তন: শতভাগ সমর্পণকারীর স্ত্রীও পাবেন সুবিধা

ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫: শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের জন্য বিশাল সুখবর নিয়ে এসেছে সরকার। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে পেনশন সুবিধার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহানো হাজার হাজার পরিবারকে স্বস্তি দেবে।

অপেক্ষার সময় কমল, মৃত্যু হলেও সুবিধা পাবে পরিবার

নতুন আদেশ অনুযায়ী, যারা এককালীন অর্থ নিয়ে মাসিক পেনশন সুবিধা সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দিয়েছিলেন, তাদের পুনঃপেনশন পাওয়ার জন্য অপেক্ষার সময়সীমা ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি বহু প্রবীণ পেনশনভোগীর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ, কারণ এর ফলে তারা অপেক্ষাকৃত কম বয়সে মাসিক পেনশন পুনর্বহালের সুযোগ পাবেন।

তবে এই আদেশের সবচেয়ে মানবিক দিকটি হলো— যদি কোনো পেনশনভোগী এই ১০ বছর পূর্তির আগেই মৃত্যুবরণ করেন, তাহলেও তার বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী অথবা যোগ্য উত্তরাধিকারী পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। মৃত্যুর তারিখ থেকে ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই তারা সেই পেনশন সুবিধা পাবেন, যা পূর্বে পেনশনারের মৃত্যুর পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেত।

আপনার পরিবারের জন্য এর অর্থ কী?

আপনার মতো বহু পরিবার আছে, যেখানে পেনশনার শতভাগ পেনশন সমর্পণ করার অল্প সময়ের মধ্যেই মারা গেছেন। আপনার বাবা ২০০১ সালে পেনশন সমর্পণ করে ২০০৮ সালে মারা যান। অর্থাৎ, সমর্পণের ৭ বছর পর তাঁর মৃত্যু হয়, যা নতুন ১০ বছরের সীমার মধ্যেই।

পূর্বের নিয়মে এই পরিস্থিতিতে আপনার মা শুধুমাত্র চিকিৎসা ভাতা ও বছরে দুটি উৎসব বোনাস পেতেন, যা তিনি বর্তমানে পাচ্ছেন। কিন্তু নতুন আদেশে বলা হয়েছে, অপেক্ষার সময়সীমা পূর্তির আগেই পেনশনারের মৃত্যু হলেও স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন।

ফলস্বরূপ, আপনার মা-ও এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন এবং আবেদন সাপেক্ষে তিনি স্বামীর পুনঃপেনশন সুবিধা, অর্থাৎ পারিবারিক পেনশন পেতে শুরু করতে পারেন। এই সুবিধা সাধারণত চিকিৎসার পাশাপাশি দৈনন্দিন খরচ মেটাতে সহায়তা করে।

গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

এই সুবিধা পেতে হলে আপনার মাকে অবশ্যই দ্রুত সংশ্লিষ্ট পেনশন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ (যেমন- হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়)-এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং নতুন আদেশের ভিত্তিতে পারিবারিক পেনশন পুনর্বহালের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন- বাবার মৃত্যু সনদ, পেনশনের কাগজপত্র, বৈবাহিক সম্পর্ক প্রমাণপত্র) আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

এই পরিবর্তনের ফলে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের আর্থিক অনিশ্চয়তা দূর হবে বলে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *