মাম্পস এর লক্ষণ 2024 । বাচ্চাদের মামস হলে কি করনীয়?
ঠান্ডা জ্বর কাশি পর হঠাৎ করেই একটি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন যে, আপনার মাম্পস বা কানের কাছের অংশ ফুলে গেছে-মাম্পস ফেলা মানে কিন্তু টনসিল ফুলে যাওয়া নয় – মাম্পস এর লক্ষণ 2024
মাম্পস কেন হয়? মাম্পস একটি সাধারণ সমস্যা যা কমপক্ষে সকালে উঠার পর ঘটতে পারে। মাম্পস হতে পারে বা আরোগ্য সম্পর্কিত কিছু কারণে যেমন:মাম্পস হওয়ার একটি সাধারণ কারণ হলো শরীরের হাইড্রেশনের অভাব। যখন আপনার শরীর যথেষ্ট পানি পান করেন না বা দিনে একটি প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পান করেন না, তখন আপনি হাইড্রেশনের অভাবে ভোগ করতে পারেন। এটি মাথার মাসুড়ে অনিশ্চিততা, চোখের জ্বলজ্ঞান, দুর্বলতা এবং মাথায় আঘাতের মতো লক্ষণের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
শারীরিক অবস্থা যেমন অনিয়মিত খাদ্য প্রণালী, অতিরিক্ত স্ট্রেস, থাকলে মাম্পসের সম্ভাবনা বাড়ায়।মাম্প্স-এর কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। লক্ষণগুলোকে প্রশমিত করার জন্য আক্রান্ত ঘাঢ়/অণ্ডকোষ-স্থানে নির্দিষ্ট বিরতিতে বরফ কিংবা গরম সেঁক দেয়া হয় এবং এসেটামিনোফেন/প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথানাশক (Tylenol) ব্যবহার করে ব্যথা কমানো হয়।
সবচেয়ে সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো মাম্প্স ভ্যকসিন বা টিকা দেয়া, যা আবিষ্কার করেছিলেন মার্ক এ্যান্ড কোম্পানি’র মরিস হাইলম্যান (Maurice Hilleman)।
রোগীদেরকে ক্ষারীয় খাদ্য ও পানীয় পরিহার করতে পরামর্শ দেয়া হয়, কেননা এগুলো লালা গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে থাকে, যা খুব ব্যথা উদ্রেককারী হয়ে থাকে।
Caption: Check source of information
বাচ্চাদের মামস হলে কি করনীয় । মাম্পস হলে কি গোসল করা যায়?
- মাম্প্স-এর কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।
- লক্ষণগুলোকে প্রশমিত করার জন্য আক্রান্ত ঘাঢ়/অণ্ডকোষ-স্থানে নির্দিষ্ট বিরতিতে বরফ কিংবা গরম সেঁক দেয়া হয় এবং এসেটামিনোফেন/প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথানাশক (Tylenol) ব্যবহার করে ব্যথা কমানো হয়।
- রে’জ সিনড্রম-এর (en:Reye’s syndrome) সাথে তাত্ত্বিক সংযোগ থাকায় এ্যাসপিরিন ব্যবহৃত হয় না।
- গরম লবণ-জল দিয়ে গার্গল করা, নরম খাদ্য খাওয়া এবং অতিরিক্ত তরল পান করলেও লক্ষণগুলো প্রশমিত হয়। মিনেসোটা’র স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকানোর কোনো কার্যকরী লক্ষণ-পরবর্তি পরামর্শ নেই, এমনকি লক্ষণ-পরবর্তি ভ্যাকসিন কিংবা অ্যান্টিবডিও কার্যকর নয়।
মাম্পস ফোলার কারণ কি?
মাম্প্স একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সংক্রামক উপাদান, যেমন মুখের লালা ইত্যাদির মাধ্যমে, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি দিলে কিংবা সর্দি ঝাড়লে তার সূক্ষ্ম কণাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্য ব্যক্তির নাক, চোখ কিংবা মুখ দিয়ে ভিতরে গিয়ে সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়া খাবার ও পানীয়, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ভাগাভাগি করার মাধ্যমেও মাম্প্স ছড়ায়। এছাড়া এই ভাইরাস, মানবশরীরভিন্ন কোনো তলেও বেঁচে থাকতে পারে, এবং পরবর্তিতে একইভাবে অন্যের সংস্পর্শে ছড়িয়ে থাকে। মাম্প্স আক্রান্ত ব্যক্তি, আক্রান্ত হবার দিন থেকে আনুমানিক ৬ দিন আগে থেকে, এবং লক্ষণ দেখা দেয়ার ৯ দিন পর পর্যন্ত সংক্রামক থাকে। পর্যবেক্ষণ সময় (লক্ষণ দেখা দেয়ার আগ পর্যন্ত) ১৪-২৫ দিন হতে পারে কিন্তু সাধারণত তা ১৬-১৮ দিন হয়ে থাকে।