নতুন সরকারি বিধি: শিশুর জন্মের পরেও নবনিযুক্ত নারী কর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর
ঢাকা, (আজকের তারিখ, যেমন: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫): সরকারি চাকরিতে সদ্য যোগদানকারী নারী কর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। এই নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোনো নারী কর্মী যদি ছয় মাসের কম বয়সী শিশু নিয়ে তার প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগ দেন, তবে তিনি শিশুটির বয়স ছয় মাস পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (পার্ট-১) এর বিধি ১৯৭ এর উপ-বিধি (১)-এ এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত বিধানে কী আছে?
সাধারণত, সরকারি নারী কর্মীরা ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পান এবং কর্মজীবনে মোট ২ বার এই ছুটি প্রযোজ্য হয়। পূর্বে, ছুটি শুরু করার তারিখ সন্তান প্রসবের তারিখের পরে হতে পারত না। কিন্তু নতুন সংশোধনীতে এই বিধানে বিশেষ ব্যতিক্রম যোগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (পার্ট-১) এর বিধি ১৯৭ এর উপ-বিধি (১)-এ প্রদত্ত বিশেষ বিধান অনুসারে:
- যদি কোনো নারী কর্মী ছয় মাসের কম বয়সী শিশু সন্তান নিয়ে তার প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন, তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হবে।
- এই ছুটি সেই তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে, যে তারিখে শিশুটির বয়স ৬ (ছয়) মাস পূর্ণ হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো নারী কর্মী চার মাস বয়সী শিশু নিয়ে চাকরিতে যোগ দেন এবং মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেন, তবে তিনি অবশিষ্ট ২ (দুই) মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, নবনিযুক্ত নারী কর্মীর প্রথম নিয়োগের পরই যদি তার ছয় মাসের কম বয়সী সন্তান থাকে, তবে শিশুর জন্মের পরেও আবেদনের ভিত্তিতে এই বিশেষ মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। এটি সরকারি চাকরিতে সদ্য যোগদানকারী মায়েদের জন্য একটি বড় সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ছুটির অন্যান্য নিয়ম অপরিবর্তিত
- প্রসূতি ছুটির মোট মেয়াদ ৬ (ছয়) মাস।
- সমগ্র চাকরি জীবনে একজন নারী কর্মী সর্বোচ্চ ২ (দুই) বার এই ছুটি প্রাপ্য হবেন।
- মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় কর্মী পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হবেন এবং এই ছুটি ‘ছুটি হিসাব’ থেকে বিয়োগ হবে না।
এই সংশোধনীটি নারী কর্মীদের কর্মজীবনে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে।
সন্তানের জন্ম হয়ে গেলে কি ৬ মাস ছুটি পাওয়া যাবে?
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত বিধি অনুসারে, সাধারণত পুরো ৬ মাসের ছুটি একসাথে পাওয়া যায় না যদি সন্তান জন্ম হয়ে যায় এবং আপনি ছুটিতে না গিয়ে থাকেন। সরকারি চাকরিতে ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো: ছুটি আরম্ভের তারিখ হবে সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখ অথবা ছুটিতে যাওয়ার জন্য আবেদনকারীর চাহিত তারিখ, ইহার মধ্যে যাহা পূর্বে ঘটিবে, ঐ তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
- অর্থাৎ, ছুটি শুরু করার সর্বশেষ তারিখ হলো সন্তান প্রসবের তারিখ।
- যদি সন্তান জন্ম হয়ে যায়, তবে প্রসবের পূর্বেই আপনার ছুটি আরম্ভ হওয়ার কথা। প্রসবের তারিখের পরবর্তী কোনো তারিখ থেকে পুরো ৬ মাসের ছুটি সাধারণত মঞ্জুর করা হয় না।
সংক্ষেপে: ৬ মাসের ছুটি পেতে হলে সন্তান প্রসবের আগেই ছুটি শুরু করতে হয়।
২. বিশেষ ব্যতিক্রম (নবনিযুক্ত কর্মীদের জন্য)
আপনার দেওয়া প্রজ্ঞাপন অনুসারে, একটি বিশেষ ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পরেও ছুটি পাওয়া যায়: যদি কোনো নারী কর্মী ছয় মাসের কম বয়সী শিশু নিয়ে তার প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন এবং মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেন, তবে তাকে শিশুটির বয়স ৬ (ছয়) মাস পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করা হবে অর্থাৎ, আপনার সন্তানের বয়স যদি ৬ মাসের কম হয় এবং এটি আপনার প্রথম সরকারি চাকরি হয়, তাহলে আপনি আপনার সন্তানের বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অবশিষ্ট মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
উদাহরণস্বরূপ:
- যদি আপনার সন্তানের বয়স জন্মের সময় ০ (শূন্য) মাস হয়, কিন্তু আপনি তখন চাকরিতে না ঢুকে থাকেন এবং পরে যখন সন্তানের বয়স ৪ মাস তখন চাকরিতে যোগ দেন, তবে আপনি ৬ মাস পূর্ণ হতে বাকি ২ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ: এই সুবিধাটি কেবলমাত্র নবনিযুক্ত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের সন্তানের বয়স ছয় মাসের কম। আপনার বর্তমান চাকরির পরিস্থিতি যদি এই ব্যতিক্রমের আওতায় পড়ে, তবে আপনি অবশিষ্ট ছুটি পাবেন।