আয়কর

এমআরপি পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৫ । ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম কি?

যাদের পূর্বে এম আর পি পাসপোর্ট আছে,  তারা খুব সহজে ৫টি ধাপ অনুসরণ করে এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট করতে পারবেন। ই পাসপোর্ট এর জন্য পুলিশ ভেরিফিকশনের প্রয়োজন হবে না। গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ধাপ হলো-

  • আপনার এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া।
  • অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ।
  • ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ।
  • প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য অফিস যাওয়া।
  • আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ।

১ম ধাপ- ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে এমন আঞ্চলিক অফিসের তালিকা থেকে দেখে নিন আপনার এলাকার অফিসে ই পাসপোর্ট issue হয়েছে কিনা। যদি আপনি আগেই নিশ্চিত হয়ে থাকেন তাহলে ২য় ধাপ অনুসরণ করুন।

২য় ধাপ- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন এর ক্ষেত্রে  আপনার নির্ভুল এম আর পি পাসপোর্ট এবং NID card টি অথবা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড কাছে রাখুন।

  • প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পোর্টালের লিংকে  প্রবেশ করুন।লিংক টি হলো-https://www.e-passport.gov.bd/landing

প্রবেশের পরে লাল বক্সে দেখানো অনলাইন আবেদন  এ ক্লিক করুন।

  • এবার আপনার জেলা এবং থানা/উপজেলা দিয়ে নিচের continue বাটনে ক্লিক করলে পরের পেজে নিয়ে যাবে।
  • পরের পেজে আপনার নিজের একটি ই-মেইল দিন। এই ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনার একাউন্ট তৈরি হচ্ছে তাই ই-মেইল টি আপনার ব্যক্তিগত হলে ভালো হয়। ই-মেইল দেওয়ার পরে হিউম্যান ভেরিফিকেশন বক্সে ক্লিক করুন এবং ওখানে দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে ভেরিফিকেশন complete করে continue বাটনে ক্লিক করুন।
  • Continue দেওয়ার পরের ধাপে একটি ঘর আসবে যেখানে আপনার ই-মেইল টি দেখা যাবে এবং নিচে পাসওয়ার্ড দেওয়ার জায়গা দিবে। পাসওয়ার্ডে সর্বনিম্ম ৬টি character থাকতে হবে। পাসওয়ার্ড তৈরি করার সময় ছোট হাতের অক্ষর, বড় হাতের অক্ষর, সংখ্যা, এবং একটি চিহ্ন দিবেন। অবশ্যই পাসওয়ার্ড টি কোথাও লিখে রাখবেন বা মনে রাখবেন। পাসপোর্ট  status check এবং পরের ধাপে একাউন্ট লগ ইন করার সময় id & pass word প্রয়োজন হবে।
  • Personal information :
  • Full name: এর ঘরে আপনার নামের সম্পূর্ণ অংশ দিবেন। যদি নামের আগে MD থাকে এবং তার পরে ডট থাকে তাহলে ডট বাদ দিবেন। ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার এমন কোনো পদবী ব্যবহার করা যাবে না।
  • Given name: এখানে নামের প্রথম অংশ দিবেন।
  • Surname : এখানে নামের শেষ অংশ দিবেন।
  • Contact information :এই অংশে আপনার ফোন নাম্বার দিবেন। আপনার ব্যক্তিগত নাম্বার ব্যবহার করেন যেনো সহজেই অফিস আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

এর নিচে থাকা human verification  complete করে continue বাটনে চাপ দিন।

  • Active e-passport account :

Continue করার পরে এমন দেখাবে। এর অর্থ আপনাকে একাউন্ট ভেরিফাই এর জন্য একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছে । ই-মেইল না পেলে নিচে থাকা resend বাটনে চাপ দিলে ২য় বার ই-মেইল পাঠাবে ভেরিফাই করে লগ ইন করার জন্য।

e-passport online portal থেকে please active your account নামে একটি ই-মেইল দিবে। ই-মেইল ইনবক্সে বা স্প্যাম বক্সে পাওয়া যাবে।ঐ ই-মেইল টি তে থাকা লিংকে ক্লিক করে ওপেন করলে, ই পাসপোর্ট অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন পোর্টালে লগ ইন করতে বলবে। E-mail & password দিয়ে ক্যাপচা ভেরিফাই করে sign in বাটনে চাপ দিয়ে লগ ইন করুন। এরপর Apply for a new e-passport  বাটনে ক্লিক করুন।

  • পরের পেজে পাসপোর্ট type নামে অপশন আসবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট টি কি ধরনের হবে অর্থাৎ সাধারণ পাসপোর্ট নাকি অফিসিয়াল পাসপোর্ট হবে সেটায় টিক দিবেন। official passport শুধু সরকারি চাকরি যারা করে তারা পেয়ে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে NOC/GO থাকতে হবে। সরকারি চাকরি বাদে সবাই ordinary passport option এ টিক দিবেন। তারপর save & continue বাটনে চাপ দিয়ে পরের পেজে যাবেন।
  • Personal information :

এখানে, I apply for myself অপশনে টিক দিলে একাউন্ট করার পূর্বে আপনার দেওয়া সকল তথ্য ফিল আপ হয়ে যাবে। একাউন্ট যার তার apply বাদে অন্য কারোর পাসপোর্ট application হলে ঐ টিক দিতে হবে না। টিক না দিয়ে নিজ হাতে নিচের অপশন গুলো পূরণ করে দিবেন। আপনার পেশা অনুসারে select profession এ থাকা লিস্ট থেকে আপনার পেশা select করে দিবেন। যে পেশা নির্বাচন করবেন সে অনুযায়ী পেশা প্রমাণের কাগজ থাকতে হবে। বেকার হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান/ কাউন্সিলর/পৌর মেয়র থেকে বেকার আছেন এমন সনদ, ছাত্র হলে কলেজ ID অথবা সর্বশেষ যোগ্যতার সার্টিফিকেট, প্রাইভেট সার্ভিস হলে তার প্রমাণ ইত্যাদি। Citizenship information অপশনে আপনি কিভাবে বাংলাদেশের নাগরিক সেটা এই অপশনে দিতে হয়। যারা জন্মগত ভাবে এই দেশের নাগরিক তারা By birth অপশনে select করবেন। যারা বিবাহ সূত্রে তারা সেটি উল্লেখ করবেন। সব শেষে save & continue বাটনে ক্লিক করে পরের পেজে চলে যাবেন।

  • Address:

Address এর প্রথম ঘর গুলো permanent address এর যেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করবেন। city/village /house এই অপশনে আপনি গ্রামের হলে গ্রামের নাম দিবেন, শহরে হলে শহরে দিবেন। তার নিচে রোড, ব্লক, সেক্টর যদি থাকে। গ্রামে হলে সাধারণত থাকে না।

Select post office অপশনে আপনার post office লিখুন, list এ থাকা post office এর নাম এবং কোড পূরণ হয়ে যাবে।

   Select police station অপশনে   আপনার স্থায়ী ঠিকানা যে থানার আন্ডারে সেটি select করুন।

  • Present address:

Present address এ আপনার বর্তমান ঠিকানা পূরণ করে দিবেন। যদি আপনার present address & স্থায়ী ঠিকানা same হয় তাহলে present address is the same as Permanent বাটনে ক্লিক করুন। আর যদি আপনার present address & permanent address same না হয় তাহলে নিজ হাতে ঘর গুলো পূরণ করুন। address অপশন complete হয়ে গেলে save & continue বাটনে ক্লিক করুন।

  • ID documents:

 MRP passport থেকে e-passport করতে গেলে বা পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে id documents  option আসবে। এখানে পূর্বে থাকা MRP passport এর তথ্য দিতে হবে।

Yes,i have a machine readable passport (MRP) এই অপশনে ক্লিক দিবেন যদি আপনার কাছে MRP passport থাকে। যদি e-passport থাকে এবং তা কোনো কারণে রিনিউ করার প্রয়োজন পরে তবে yes, i have an electronic passport (epp) তে ক্লিক দিবেন।

Select reissue reason এর ড্রপ ডাউন মেনু থেকে কি কারণে passport reissue হচ্ছে তা select করে দিন। previous passport number এ আপনার পূর্বের MRP passport number টি নির্ভুল ভাবে লিখুন। তার নিচে ঐ পাসপোর্ট এর issue date & মেয়াদ শেষ হওয়ার date দিয়ে দিন। সবশেষে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার সঠিক ভাবে লিখে save & continue বাটনে ক্লিক করে পরের পেজে চলে যান।

  • Parental information :

এখানে আপনার পিতা, মাতার তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। বাবা মায়ের NID number না দিলেও চলবে। আপনার নিজের NID/পূর্বের MRP passport অনুসারে পিতা মাতার নাম লিখতে হবে।

  • Guardian information :

শুধু মাত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং এতিম সন্তানের ক্ষেত্রে এই অপশনের তথ্য পূরণ করতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে যেমন আছে তেমনি রাখতে হয়। parental information পেজে সকল তথ্য দেওয়া শেষ হলে save & continue বাটনে ক্লিক করুন।

  • Spouse information :

বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী /স্ত্রী এর তথ্য দিতে হয় এখানে। অবিবাহিত হলে single option select করবেন। সকল তথ্য দেওয়া শেষ হলে save & continue বটনে ক্লিক করুন।

  • Emergency contact :

জরুরি প্রয়োজনে যার সাথে যোগাযোগ করা যায় এমন একজনের তথ্য এই অপশনে দিতে হয়।

Emergency contact option এর নিচে  save & continue বাটনের উপরে send sms application status information also to this phone number এই অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখবেন  যাতে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা কি তা SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয় পাসপোর্ট অফিস। শেষে save & continue বাটনে ক্লিক করে পরের পেজে যেতে হবে।

  • Passport option :

নামের এই অপশনে কত পৃষ্ঠার, কত বছরের পাসপোর্ট নিতে চান সেটা select করে দিতে হবে। পাসপোর্ট ফি কতো সেটাও এখানে উল্লেখ থাকে। save & continue বাটনে ক্লিক করুন।

  • Delivery option & appointment :

এই অপশনে নির্দিষ্ট করে দিতে হয় আপনি পাসপোর্ট regular delivery চান নাকি express delivery চান। তাছাড়া এই পেজে উল্লেখ থাকে আপনার পাসপোর্ট এর জন্য appointment date দিতে হবে কিনা। save & continue বাটনে ক্লিক করে পরের পেজে চলে যান।

  • Delivery option :

এই পেজে MRP থেকে e-passport আবেদনের জন্য সকল তথ্য রিভিশনের জন্য দেখানো হয়। ফাইনাল সাবমিটের আগে তথ্যে কোন ভুল থাকলে তা এডিট করে সংশোধন করা যায়। ফাইনাল রিভিশনের পরে confirm and proceed to payment বাটনে ক্লিক করতে হয়। সবশেষে

Confirm করতে হয়। এই confirmation এর পরে ই পাসপোর্ট এর তথ্য আর এডিট করা যায় না।

  • Payment option :

Payment option এ online & offline option দেয়া থাকে। যে যার সুবিধা মত payment option বেছে নেয়। তবে আমি বলবো offline payment করতে, এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ ব্যাংক থেকে ২য় বার চেক হয়। অনেক সময় online payment option কাজ করে না, তাই offline payment option click করে দিতে হয়।

  • E-passport application submitted :

Application submit হয়ে গেছে এখন payment summary page & online application page টি download করে print করে নিতে হবে।

ছবি তোলা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য শিডিউল ডেট নেওয়া হলে সেই ডেট ট এ যাবেন। আর যদি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে শিডিউল ডেট নেওয়া না লাগে তাহলে আপনার সুবিধা মতো সময়ে যাবেন। নিচের কাগজ সমূহ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। অফিসে জমা দেওয়ার সময় রিসিপশন থেকে একটি পাসপোর্ট reissue form দিবে তা নিজ হাতে পূরণ করে একই সাথে জমা দিবেন। কাগজগুলো হলো-

  • NID/Birth certificate মূল কপি এবং ফটোকপি।
  • পূর্বের MRP passport মূল কপি এবং ফটোকপি।
  • Payment slip-ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া রশিদের মূল কপি।
  • GO/NOC সরকারি চাকুরিজীবী হলে। অন্যদের পেশা প্রমাণের ডকুমেন্টস।
  • আবেদন পত্র, পেমেন্ট সামারির প্রিন্ট কপি।
  • বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন হলে তা প্রমাণের ডকুমেন্টস।

MRP থেকে e-passport রিনিউ অথবা নতুন পাসপোর্ট আবেদন দিয়ে বায়োএনরোলমেন্ট শেষে delivery slip প্রদান করে প্রতিটি পাসপোর্ট অফিস। ঐ delivery slip এর ওপরে বাম পাশে উল্লেখ থাকে সম্ভাব্য পাসপোর্ট delivery date। ঐ ডেটে গিয়ে পাসপোর্ট অফিসের delivery counter থেকে আপনার ই পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *