ডাক্তার পদবী ব্যবহার নীতিমালা ২০২৪ । এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রী প্রাপ্তগণ ব্যতিত অন্য কেহ ডাক্তার পদবী ব্যবহার করিতে পারিবে না
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৬১ নং আইন) এর ধারা ১৫, ২৮, ২৯ উল্লেখযোগ্য আইনগুলি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে- ডাক্তার পদবী ব্যবহার নীতিমালা ২০২৪
নিবন্ধনযোগ্য মেডিকেল চিকিৎসা ডিপ্লোমা থাকতে হবে? হ্যাঁ। বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত, ৩ (তিন) বৎসরের কম নহে এইরূপ সময়ব্যাপী, মেডিকেল চিকিৎসা-প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর উক্ত মেডিকেল চিকিৎসা ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল সহকারীগণ এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত হইবার যোগ্য হইবেন।
প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব বা নিবন্ধনের দন্ড কি? যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় লইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক হিসাবে এই আইনের অধীনে নিবন্ধন, অথবা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ, অথবা মিথ্যা বা প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব প্রকাশ করিবার চেষ্টা করেন অথবা মৌখিক বা লিখিতভাবে উক্তরূপ ঘোষণা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩(তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষটাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডণীয় হইবেন।
ভূয়া পদবী, ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ? জি। এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোন নাম, পদবী, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করিবেন না যাহার ফলে তাহার কোন অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে মর্মে কেহ মনে করিতে পারে, যদি না উহা কোন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা- শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা হইয়া থাকে। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রী প্রাপ্তগণ ব্যতিত অন্য কেহ ডাক্তার পদবী ব্যবহার করিতে পারিবে না।
মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমার স্বীকৃতি । ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হইবে। কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীল-মোহর থাকিবে, এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার এবং চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
Caption: Dental Policy
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার ডিগ্রী বা ডিপ্লোমাধারী কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা ব্যবহার করিতে চাহিলে, উহা এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইতে হইবে।
- বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমাধারী কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রী ব্যবহার করিতে চাহিলে, উহা এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইতে হইবে।
- বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা প্রদানকারী কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের নাম তৃতীয় তফসিলের, যথাক্রমে, ‘‘ক’’ অংশে বা ‘‘খ’’ অংশে অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানকে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত ডিগ্রীধারী ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে উক্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
- উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারী বা, ক্ষেত্রমত, আবেদনকৃত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য তৃতীয় তফসিলের ‘‘ক’’ অংশ বা, ক্ষেত্রমত, ‘‘খ’’ অংশ সংশোধনক্রমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম উক্ত যোগ্যতাসহ উক্ত তফসিলের সংশ্লিষ্ট অংশে অন্তর্ভুক্ত করিবে।
ন্যূনতম কয় বছর পড়াশুনা করতে হবে?
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত, ৩ (তিন) বৎসরের কম নহে এইরূপ সময়ব্যাপী, মেডিকেল চিকিৎসা-প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর উক্ত মেডিকেল চিকিৎসা ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল সহকারীগণ এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত হইবার যোগ্য হইবেন। উপ-ধারা (১) এর অধীন ডিপ্লোমাধারী কোন মেডিকেল সহকারীকে এই আইনের অধীনে উক্ত ডিপ্লোমা নিবন্ধনের জন্য কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে। উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারীর উক্ত ডিপ্লোমা নিবন্ধন করতঃ তাহাকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে এবং পঞ্চম তফসিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম উক্ত ডিপ্লোমাসহ অন্তর্ভুক্ত করিবে। উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত মেডিকেল সহকারীগণ কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালার অধীনে মেডিসিন, সার্জারী এবং মিডওয়াইফারী পেশায় নিয়োজিত থাকিতে পারিবেন।
যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় লইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক হিসাবে এই আইনের অধীনে নিবন্ধন, | উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ সংঘটনে সহায়তাকারী ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত দন্ডে সমানভাবে দন্ডনীয় হইবেন। | প্রতারণামূলকভাবে তাহার নাম বা পদবীর সংগে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোন শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন, তাহার মিথ্যা পরিচয়ের দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তি প্রতারিত না হইলেও, |
অথবা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ, অথবা মিথ্যা বা প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব প্রকাশ করিবার চেষ্টা করেন অথবা মৌখিক বা লিখিতভাবে উক্তরূপ ঘোষণা করেন, | এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত না হইয়াও যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে এই আইনের অধীনে নিবন্ধনকৃত একজন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলিয়া প্রতারণা করেন, অথবা | |
তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। | তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। |
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০: ডাউনলোড