গোসলের ওযুর নিয়ম ২০২৪ । মুসলমানের খালি গায়ে গোসল করলে কি হয়?
সঠিক নিয়মে গোসল না করলেও আপনি অপবিত্র থাকতে পারেন- অযু ছাড়া কোনভাবেই নামাজ হবে না– গোসল করার ইসলামিক নিয়ম ২০২৪
গোসল করলে কি আবার অযু করতে হয়? গোসল হলো পবিত্রতার বড় মাধ্যম, আর অজু ছোট মাধ্যম। অজুতে যেসব অঙ্গ ধুতে হয়, তা গোসলেই ধোয়া হয়ে যায়। তাই গোসল করলে অজুও হয়ে যায়। ফলে গোসলের পর অজু ভঙ্গের কারণ পাওয়া না গেলে নতুন করে অজু করতে হবে না। গোসলের ফরজ মেনে গোসল করলে আর ওযু করতে হবে না।
কোরআন ও হাদীসের আলোকে ওযুর নিয়ম কি? মহান আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা ছালাতের জন্য প্রস্ত্তত হও, তখন তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় কনুই সমেত ধৌত কর এবং তোমাদের মাথা মাসাহ কর ও পদযুগল টাখনু সমেত ধৌত কর (সূরা আল মায়েদাহ)। অজুর ফরজ চারটি যথা, মুখমন্ডল ধোয়া, কনুই পর্যন্ত দুই হাত ধোয়া, মাথা মাসেহ করা, দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৈত করা।
গোসল কখন ফরজ হয়? পাঁচটি কারণে গোসল ফরজ হয়। এগুলো হল স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে কিংবা পুরুষের স্বপ্নদোষ হলে গোসল করতে হবে। নারীদের ঋতুস্রাব অথবা পিরিয়ড হলে গোসল করতে হবে। সন্তান প্রসবের পর রক্তপাত বন্ধ হলে করতে হয়। মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া জীবিতদের জন্যও গোসল ফরজ হয়। কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলেও গোসল ফরজ হয়ে যায়।
গোসলের ওযুর নিয়ম ২০২৪ । খালি গায়ে গোসল করলে কি হয়?
প্রয়োজন ছাড়া বাথরুমে খালি গোসল করা উচিত নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। বাথরুমে খালি গায়ে গোসল কিংবা অজু করা সুন্নত ও শিষ্টাচার-পরিপন্থী। তাই এমন কাজ না করাই উচিত।
Caption: From Hadith and Quran
অযু ভঙ্গের কারণ ২০২৪ । যে সকল ক্ষেত্রে ওযু ভঙ্গ হয়
- পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, পোকা ইত্যাদি।
- রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।
- মুখ ভরে বমি করা।
- থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।
- চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।
- পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে।
- নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে।