ইলিশ মাছের দাম ২০২৫ । বাংলাদেশে ইলিশের মূল্য সরকার নির্ধারণ করবে?
অবশেষে জাতীয় মাছ “ইলিশ” এর মূল্য নির্ধারণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে- আমার নিজ জেলা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর-ইলিশ মাছের দাম ২০২৫
ন্যায্য মূল্যে ইলিশ চাইলে কোথায় যেতে হবে? ঢাকায় যান, সকাল ১০টা–১২টার মধ্যে করওয়ান বাজারে বিএফডিসিসের স্টল খুঁজুন এবং ৪৫০–৮৫০ g ওজনের ইলিশ দেশে নিন প্রতি কেজি Tk 600 দরে। বাজার থেকে কিনতে চাইলে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী মাছের আকার উল্লেখ করুন—ছোটের জন্য Tk 800–1,000, মাঝারি/বড়ের জন্য Tk 1,400–3,300 পর্যন্ত বাজেট করুন।
সরকারি মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে? সরকার ‘ন্যায্য মূল্যে বিক্রি’ কর্মসূচির আওতায় ৪৫০–৮৫০ g ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি Tk 600 দরে বিক্রি করে আসছে, বিশেষত রাজধানীর করওয়ান বাজারে সীমিত পরিমাণে । এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ, কিছু নির্দিষ্ট স্টলে এবং সীমিত পরিসরে কার্যকর হচ্ছে, ব্যাপক বাজারে নয়।
চাঁদপুর প্রশাসনের এই চিঠি মৎস্য ও খামার মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর, আগামী ক’দিনে একটি জাতীয় বা অঞ্চলভিত্তিক মূল্যনির্ধারণ উদ্যোগ দেখা যেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তারিখসহ কোনও আনুষ্ঠানিক দাম ঘোষণা করা হয়নি।
বাংলাদেশে বর্তমানে ইলিশের দাম কত । ইলিশ মাছের দাম জুলাই ২০২৪
৫০০-৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছের দাম প্রতি কেজি ১১৫০ টাকা। ৭০০-৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছের দাম প্রতি কেজি ১২০০ টাকা। ৯০০ থেকে ১ কেজি সাইজের ইলিশ মাছের দাম প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা। ১ কেজি ১০০ হতে ১ কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছের দাম প্রতি কেজি ১৩০০ টাকা।
Caption: Hilsha price bd
আজকের মাছের দাম ২০২৫ । বাংলাদেশের ইলিশ মাছের দাম বেশি হওয়ার কয়েকটি প্রধান কারণ হল: ১) সীমিত সরবরাহ ও প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি না হওয়া, ২) চাহিদা বৃদ্ধি, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে, ৩) রপ্তানির কারণে স্থানীয় বাজারে ঘাটতি, এবং ৪) অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।
- সীমিত সরবরাহ: ইলিশ একটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং এর উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য খুব বেশি কিছু করা যায় না। একদিকে ইলিশের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন সীমিত থাকায় দাম বাড়ছে।
- ক্রমবর্ধমান চাহিদা: দেশের ভেতরে এবং বাইরে ইলিশের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে ইলিশের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও, রপ্তানির কারণেও স্থানীয় বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা যায়।
- রপ্তানি: বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। এর ফলে স্থানীয় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যায় এবং দাম বেড়ে যায়।
- সিন্ডিকেট: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার সিন্ডিকেট করে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে জেলে বা সাধারণ ক্রেতারা ইলিশের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন।
- গুণগত মান: ইলিশ মাছের স্বাদ ও গন্ধ অন্যান্য মাছের চেয়ে ভিন্ন হওয়ার কারণে এর চাহিদা বেশি। এছাড়া, এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য উপকারী।
- ওজন ও আকার: সাধারণত, ইলিশের আকার যত বড় হয়, কেজি প্রতি দাম তত বেশি হয়। নদীর ইলিশের দাম সমুদ্রের ইলিশের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
সরকারি কি ইলিশের মূল্য নির্ধারণ করে দিবে?
সরকার এখনও ইলিশের দাম দেশজুড়ে বা বাজারে সর্বত্র বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারণ করেনি। তবে কিছু এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন নিয়ে এসেছে উদ্যোগ করেছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ১৭ জুন ২০২৫ তারিখে মৎস্য ও খামার বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছে, যাতে ইলিশের একটি “নির্ধারিত দাম” প্রণয়ন করা যায়—কারণ কিছু জেলা যেমন চাঁদপুর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম স্বেচ্ছামতো বৃদ্ধি করছে ।
মাছের ধরণ | বাজারদর (প্রতি কেজি) |
---|
ছোট (300–400 g) | Tk 800–1,000 |
মাঝারি (450–650 g) | Tk 1,400–1,800 |
বড় (1–1.5 kg) | Tk 3,000–3,300+ |
সরকারি (450–850 g) | Tk 600 (নিয়ন্ত্রিত) |