এইমাত্র পাওয়া

মূল বেতনের ২০% বাড়িভাড়া চাই ২০২৫ । ৫% বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা আমরণ অনশনে, হিসাব কষেই অসন্তোষ?

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যূনতম ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবির বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষক নেতারা বলছেন, ৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি হলে তা বর্তমান সময়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ বেমানান এবং এ বৃদ্ধি ২০ বছরেও ন্যূনতম ২ হাজার টাকার সীমা পার করতে পারবে না।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এই প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষকদের হিসাব এবং অসন্তোষের কারণ:

আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা তাদের অসন্তোষের পেছনে গাণিতিক যুক্তি তুলে ধরেছেন। তাদের যুক্তি অনুযায়ী,

১. বর্তমান পরিস্থিতি: একজন শিক্ষকের মূল বেতন যদি ১২,৫০০ টাকা হয়, তবে ৫% হারে বাড়িভাড়া দাঁড়ায় ৬২৫ টাকা। সরকার এই ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২,০০০ টাকা নির্ধারণ করে দিতে চেয়েছে। ২. ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি: শিক্ষক নেতারা বলছেন, যদি আগামীতে পে-কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষকদের মূল বেতন দ্বিগুণ হয়ে ২৫,০০০ টাকাও হয়, তাহলেও ৫% হারে বাড়িভাড়া হবে মাত্র ১,২৫০ টাকা। সে ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত ‘ন্যূনতম ২,০০০ টাকা’ই কার্যকর থাকবে। ৩. বিশ্লেষণ: এই হিসাবে দেখা যায়, মূল বেতন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেলেও ৫% হারের কারণে শিক্ষকরা সেই বর্ধিত বেতনের সুবিধা বাড়িভাড়ার ক্ষেত্রে পাবেন না, বরং ‘ন্যূনতম ২,০০০ টাকা’-এর সীমাতেই আটকে থাকবেন।

শিক্ষক নেতারা দাবি করেন, মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় এই ৫% বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অপ্রতুল ও অপমানজনক। একজন শিক্ষককে ২০ বছর ধরে একই (বা সামান্য বেশি) বাড়িভাড়া নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, মূল বেতনের ন্যূনতম ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা (যা বর্তমানে ১,৫০০ টাকা বা কিছু ক্ষেত্রে ১,০০০ টাকা) নিশ্চিত না হলে তারা আমরণ অনশন থেকে সরবেন না। এই কঠোর কর্মসূচির ফলে সারাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের স্থবিরতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *