এইচ এস সি বৃত্তি ২০২৪ । এইচ এসসি মেধা বৃত্তিতে মাসে কত টাকা পাওয়া যায়?
এইচ.এ.সি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করলে তার প্রেক্ষিতে বোর্ড বৃত্তি পাওয়া যায়-আপনিও চেক করে দেখুন বৃত্তি পেয়েছেন কিনা – HSC Scholarship 2024
এইচ.এসসি বৃত্তি প্রাপ্তির সর্বনিম্ন যোগ্যতা কি?– সরকারি আদেশ মোতাবেক বৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতা সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.০০ । বৃত্তির তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ভিত্তিতে (৪র্থ বিষয় ব্যতীত) বৃত্তি প্রদান করা হয়। একাধিক শিক্ষার্থী একই জিপিএ পেলে প্রথমে ৪র্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রমে প্রস্তুত করা হয়। ৪র্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত মোট নম্বর একই হলে ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রমে প্রস্তুত করা হয়। ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত মোট নম্বর একই হলে পর্যায়ক্রমে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রমে নির্ধারিত করা হয়।পর্যায়ক্রমে বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর একই হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে বাধ্যতামূলক ২টি বিষয়ে প্রাপ্ত সর্বমোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারিত করা হয়।
মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির হার কত? একজন ছাত্র মেধা বৃত্তির আওতায় মাসিক ৮২৫ টাকা এবং একাকালীন ১৮০০ টাকা অনুদান পাওয়া যাবে কোর্সের মেয়াদ পর্যন্ত। অন্যদিকে সাধারণ বৃত্তির আওতায় ৩৭৫ টাকা মাসিক এবং এক কালীন ৭৫০ টাকা কোর্সের মেয়াদকাল পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা-এর ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত শর্তে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ‘মেধাবৃত্তি ও সাধারণবৃত্তি’ প্রদান করা হলো । সরকারি নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী এ বৃত্তি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
HSC Scholarship 2024 । এইচএসসি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখুন
বৃত্তি বদলির নিয়ম কি? বৃত্তি বদলীর বিষয়ে প্রেরিতব্য তথ্যগুলো হলো (ক) বৃত্তির টাকা উত্তোলন ও প্রদান সম্পর্কীয় পূর্ণ বিবরণ, (খ) যে বোর্ড হতে বৃত্তি দেয়া হয়েছে তার নাম, বৃত্তির প্রকার এবং যে বিজ্ঞপ্তি মারফৎ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে তার নম্বর, তারিখ ও পৃষ্ঠা নম্বরসহ বৃত্তির ক্রমিক নম্বর ও সংশ্লিষ্ট ছাত্র/ছাত্রীর রোল নম্বর, (গ) পূর্বতন প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ছাড়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ।
২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা PDF Download
সাধারন ও মেধা বৃত্তির শর্ত ২০২৪ । শর্ত ভঙ্গ করলে বৃত্তি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বৃত্তি প্রদানের সময় নিয়ম ও নীতিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
- বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের সার্টিফিকেট প্রদান সাপেক্ষে ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করে বৃত্তির টাকা উত্তোলন করবে। বৃত্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুলাই মাস হতে কোর্সের মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত ।
- সংশ্লিষ্ট ছাত্র/ছাত্রীদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সদাচরণ, নিয়মিত উপস্থিতি ও সন্তোষজনক পাঠোন্নতি সাপেক্ষে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
- এ বৃত্তিগুলোর সংখ্যা, হার ও মেয়াদ আপাত নির্ধারিত। প্রয়োজনবোধে সরকার কোন কারণ না দেখিয়েই তা পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারবে।
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মঞ্জুরি (অনুমোদন) প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বৃত্তি কার্যকর হবে। মঞ্জুরি (অনুমোদন) প্রাপ্ত নয় এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বৃত্তি কোনক্রমেই কার্যকর হবে না। কারণ সরকারি আইন অনুযায়ী অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নয় এবং অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকাল পাঠবিরতি (ব্রেক অব ষ্টাডি) হিসেবে গণ্য হবে ।
- সকল বৃত্তিই কেবল নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধানুসারে এবং নীতিমালার অন্যান্য শর্ত মোতাবেক প্রদান করা হবে। কোন ভাবেই অনিয়মিত শিক্ষাথী বৃত্তি পাবে না।
- সকল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করবে। সরকার অনুমোদিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোন মাসিক বেতন দাবী করতে পারবে না। তাদের নিকট মাসিক বেতন দাবী করলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- বিলম্বে ভর্তি, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, বিষয় পরিবর্তন এবং অসুস্থতার কারণে সর্ব্বোচ্চ ১ (এক) বছর পাঠবিরতি গ্রহণযোগ্য। তবে সেক্ষেত্রে বৃত্তি নিয়মিতকরণ বাধ্যতামূলক। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়মিতকরণ করবে।
বৃত্তি না তুললে কি তা তামাদি হয়ে যায়?
হ্যাঁ। তামাদি হয়ে যায়। কোন কারণে অর্থ বছরের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-এর অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ১ (এক) বছরের তামাদি (বকেয়া) বৃত্তি প্রদান করা যাবে। বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বরাদ্দকৃত অর্থ G2P পদ্ধতিতে EFT-এর মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে প্রেরণের নিমিত্তে বাংলাদেশ তফসীলভুক্ত অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে হিসাব নম্বর ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদানের শিক্ষার্থীদের নির্দেশ প্রদান করতে হবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রী ছাড়পত্র নিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তৎক্ষণাৎ প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানগণ বৃত্তি বদলির ব্যাপারে নিম্নলিখিত তথ্যাদিসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-কে অবহিত করতে হবে, অন্যথায় প্রয়োজনীয় অনুমতির অভাবে সংশ্লিষ্ট বৃত্তির টাকা সময়মত উত্তোলন করা না গেলে সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগণই দায়ী থাকবেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীগণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত অন্য কোন বৃত্তি গ্রহণ করলে বোর্ড প্রদত্ত বৃত্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোন ছাত্র/ছাত্রী একই সাথে একাধিক বৃত্তি ভোগ করতে পারবেনা ।