প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধে জাদুকরী ‘হলুদ বুস্টার’: জেনে নিন তৈরির সঠিক নিয়ম ও সেবনবিধি
বর্তমান সময়ে ব্যস্ত জীবনযাত্রা ও দূষণের মাঝে সুস্থ থাকতে মানুষ এখন ঝুঁকছে প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানের দিকে। এর মধ্যে ‘হলুদ বুস্টার’ (Turmeric Booster) পানীয়টি শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে কাঁচা হলুদ বা অর্গানিক হলুদ গুঁড়োর সাথে কোল্ড প্রেসড কোকোনাট অয়েলের সংমিশ্রণ শরীরের প্রদাহ কমাতে অনন্য।
কিভাবে তৈরি করবেন এই বুস্টার?
এই পানীয়টি তৈরি করা অত্যন্ত সহজ। এর জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
-
ভিত্তি: এক গ্লাস কুসুম গরম পানি নিন।
-
প্রধান উপাদান: এতে এক চামচ হলুদ বুস্টার (হলুদ ও অন্যান্য মশলার মিশ্রণ) মেশান।
-
শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এর সাথে এক চামচ অর্গানিক কোল্ড প্রেসড মেডিসিনাল কোকোনাট অয়েল যোগ করুন। (হলুদের কার্যকরী উপাদান ‘কারকিউমিন’ চর্বি বা ফ্যাটের সাথে মিশলে শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে)।
-
স্বাদ ও পুষ্টি: আপনি যদি ডায়েট মেইনটেইন করেন বা বাড়তি এনার্জি চান, তবে মাঝে মাঝে এক চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
কখন এবং কতটুকু খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানীয়টি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে। প্রতিদিন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে উপরের মিশ্রণটি পান করাই যথেষ্ট। অতিরিক্ত সেবন না করে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পান করলে এটি লিভার ডিটক্স এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
কেন এই পানীয়টি কার্যকর?
হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ সম্পন্ন। অন্যদিকে, মেডিসিনাল কোকোনাট অয়েলে থাকা লরিক অ্যাসিড শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই দুইয়ের সংমিশ্রণ বাতের ব্যথা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
সতর্কতা: আপনার যদি বিশেষ কোনো শারীরিক জটিলতা বা অ্যালার্জি থাকে, তবে নিয়মিত এই বুস্টার শুরু করার আগে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।


