ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: দলীয় সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রুমিন ফারহানা, স্বতন্ত্র লড়ার ঘোষণা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সমীকরণ ও প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। আসনটি শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। ফলে এই আসনে জোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জমিয়তের প্রার্থী মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।
তবে দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
দলের বাধ্যবাধকতা ও রুমিনের অনড় অবস্থান
আসনটি শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে রুমিন ফারহানা রাজনৈতিক বাস্তবতা স্বীকার করলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তিনি বলেন, “এত বড় দল, তাদের নিজস্ব ভালো-মন্দ বুঝতে হয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে জোট হয়েছে, আসন না দিলে জোট রক্ষা হয় না। দল হয়তো বাধ্য হয়েই এই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে।”
তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে—এমন সম্ভাবনা থাকলেও তিনি পিছপা হচ্ছেন না। রুমিন ফারহানা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “দল যদি ব্যবস্থা নেয়ও, তবুও আমি নির্বাচন করব।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি
আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন এই নেত্রী। তিনি বলেন, “ইনশা আল্লাহ সবার দোয়ায় আমি নির্বাচন করব। আমি আমার এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং তাদের চাওয়ার মূল্যায়ন করতে চাই।”
স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রুমিন ফারহানার এই বিদ্রোহী অবস্থানের ফলে নির্বাচনী লড়াই এখন বহুমাত্রিক রূপ নিতে যাচ্ছে। একদিকে জোটের প্রার্থী মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়লে, অন্যদিকে রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে থাকলে বিএনপির ভোট ব্যাংক বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, রুমিন ফারহানার এই ঘোষণার পর বিএনপি কেন্দ্র থেকে কোনো সমঝোতার উদ্যোগ নেয় কি না, নাকি কঠোর কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


