দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা বৃত্তি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকে ১২০০ টাকা মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করা হয়

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তি মঞ্জুরীর জন্য আবেদনের আহ্বান-ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি

“প্রতিবন্ধী” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি- জন্মগতভাবে, বা রোগাক্রান্ত হইয়া, বা দুর্ঘটনায় আহত হইয়া, বা অপচিকিত্সায়, বা অন্য কোন কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানষিকভাবে ভারসাম্যহীন; এবং উক্তরূপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে- স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন; এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম।

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফসহ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে মাসিক ১২০০/- টাকা হারে এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে মাসিক ১৫০০/- টাকা এক বছর মেয়াদী উপবৃত্তি মঞ্জুরীর জন্য নিকট থেকে সাদা কাগজে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে? আবেদনে শিক্ষার্থীদের নাম, বিষয়, অধ্যয়নরত শ্রেণী, শিক্ষাবর্ষ, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, রোল নং, মোবাইল নম্বর এবং হলের নামসহ উল্লেখ পূর্বক স্ব স্ব বিভাগীয় চেয়ারম্যান/ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশিষ্ট হল প্রভোস্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রটি রেজিস্ট্রারের অফিসে (শিক্ষা-৫) শাখায় আগামী ১৬-০৮-২০২৩ তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশুনার জন্য ১২০০ টাকা হতে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। এজন্য নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে হবে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তি মঞ্জুীর জন্য আবেদনের আহবান

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা বৃত্তি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকে ১২০০ টাকা মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করা হয়

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে পরিচালিত প্রতিবন্ধী সনাক্তকরণ জরীপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ লক্ষ নারী ও পুরুষকে কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের শিক্ষা,প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন । সরকার হতেও প্রশিক্ষণ উত্তীর্ণ সকলকেই জনপ্রতি ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা করে পুনর্বাসন অনুদান প্রদান করা হয়।

  1. ১৯৮১ সালে সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(সিডা)-র আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (ইআরসিপিএইচ) স্থাপন করা হয়।
  2. বর্তমানে ইআরসিপিএইচ কেন্দ্রের অভ্যন্তর জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্র (এনটিআরসিবি) পরিচালিত হচ্ছে।
  3. ১৫ হতে ৪০ বছর বয়সের নুন্যতম ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে চাকুরী অথবা স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।
  4. প্রশিক্ষণ উত্তীর্ণ সকলকেই জনপ্রতি ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা করে পুনর্বাসন অনুদান প্রদান করা হয়।কেন্দ্রের ৫০ টি আসন সংরক্ষিত আছে।
  5. ৬ মাস মেয়াদী ট্রেডসমুহে দ্বিবার্ষিক পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তি ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
  6. প্রতিবন্ধী নিবাসীদের সরকারী খরচে একত্রে মোট ৫০ জনের থাকা খাওয়ার আবাসন সুবিধা সহ চিকিৎসা, খেলাধূলা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ রয়েছে।
  7. নিবাসীদের দেখাশুনার জন্য ১ জন ওয়ার্ডার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন।
  8. প্রশিক্ষণ উত্তীর্ণ প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরী প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনকল্পে এবং স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসনকৃত প্রতিবন্ধীদের ফলোআপন কাজে ১ জন প্লেসমেন্ট অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
  9. এ পর্যন্ত মোট ৭৪ জনকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং ৬৮৩ জনকে স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কে?

আমেরিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে যে সংজ্ঞা দিয়েছিল সেটা তো বলা হয়, যে-সমস্ত ব্যক্তির সবচেয়ে ভালো চোখ বা লেন্স ব্যবহারের পরও ভিস্যুয়াল অ্যাকুইটি ২০/২০০ বা তারও কম অথবা ব্যক্তির ভিস্যুয়াল অ্যাকুইটি ২০/২০০-ফুটের বেশি কিংবা ব্যক্তির ভালো চোখের দৃষ্টি ক্ষেত্র ২০ বা এর কম তাদের বলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *