এইমাত্র পাওয়া

কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশ: প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি কঠোর বার্তা মন্ত্রণালয়ের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের চলমান কর্মবিরতি এবং তথাকথিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিসহ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (০৩ ডিসেম্বর ২০২৫) মন্ত্রণালয় থেকে সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কঠোর বার্তা দেওয়া হয়।

🚨 নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা

বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এই নির্দেশনা অমান্য করে কোনো শিক্ষক শৃঙ্খলা-বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচি গ্রহণকে সরকারি চাকরি আইন ও ফৌজদারি আইনের পরিপন্থী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

📍 পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে

সহকারী শিক্ষকদের প্রধান তিনটি দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়েছে:

  • ১১তম গ্রেডে বেতন: সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এর সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই অর্থ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও গত ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।

  • উচ্চতর গ্রেড: ১০ ও ১৬ বছর চাকরি শেষে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

  • প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষকদের মধ্য হতে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

🚫 পরীক্ষা গ্রহণে বাধা ও লাঞ্ছনার অভিযোগ

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপর্যুক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করার পরেও সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ না করে বিভিন্নভাবে তাতে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং পরীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দ্রুত স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম ফিরিয়ে আনতে এবং শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *