বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রশাসনে বড় পরিবর্তন: প্রধান শিক্ষক পদে আসছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) প্রশাসনে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। এখন থেকে সরকারি প্রয়োজন সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হিসেবে উপযুক্ত শিক্ষক/কর্মকর্তা বা বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে প্রেষণে নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫-এ এই নতুন নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা সরাসরি প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্বে আসার সুযোগ পাচ্ছেন।
🛑 অনিয়মের রাশ টানতে কঠোর হচ্ছে সরকার
নীতিমালা-২০২৫-এর মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও প্রাতিষ্ঠানিক এমপিও কোড স্থগিত, কর্তন বা বাতিলের বিষয়েও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার ১৮ ধারায় ‘বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশ স্থগিত, কর্তন, বাতিলকরণ ও পুনঃছাড়করণ’ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
যেসব কারণে কঠোর ব্যবস্থা:
-
নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম: শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রমাণিত হলে।
-
বেতন-ভাতাদি উত্তোলনে অনিয়ম: সরকারি অংশের বেতন-ভাতাদি উত্তোলনে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে।
-
নীতিমালার ১৮.১ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অন্যান্য অনিয়মের জন্য।
উল্লিখিত অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মচারী/প্রতিষ্ঠান প্রধানের সরকারি অংশের বেতন-ভাতাদি বা প্রাতিষ্ঠানিক এমপিও কোড মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সাময়িক স্থগিত করতে পারবে।
ব্যবস্থা গ্রহণের পর মাউশি দায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সভাপতির নামসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
⚖️ আপিলের সুযোগ
মাউশির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/শিক্ষক/কর্মচারী/পরিচালনা কমিটির সভাপতি মন্ত্রণালয়ে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন এই নীতিমালা-২০২৫ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।


