১লা অক্টোবর থেকে কমল হার্টের রিংয়ের দাম ২০২৫ । নতুন সরকারি মূল্য কার্যকর, বেশি দাম নিলে কড়া ব্যবস্থা?
জনসাধারণের জন্য স্বস্তির খবর! সরকার কর্তৃক হার্টের রিং (স্টেন্ট)-এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের ফলে ১লা অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে এর দাম কার্যকরভাবে কমেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নতুন মূল্যতালিকা ঘোষণা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আমদানিকৃত এবং দেশীয় বাজারে বিক্রি হওয়া ১১টি ভিন্ন ভিন্ন করোনারি স্টেন্ট (হার্টের রিং)-এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে পূর্বের মূল্যের তুলনায় বেশিরভাগ রিংয়ের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে।
মূল্য পরিবর্তনের একটি চিত্র:
নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, বাজারে বহুল প্রচলিত কিছু মডেলের রিংয়ের দামের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। যেমন:
উচ্চমূল্যের কিছু রিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৮,০০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।
জনসাধারণের প্রতি নির্দেশনা:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে ১লা অক্টোবর ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর এই নতুন মূল্য তালিকা সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী:
- হার্টের রিং-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য অনুসরণ করে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে।
- স্টেন্ট-এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য চিকিৎসা প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
- স্টেন্টের নাম, মূল্য ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখপূর্বক কাগজের প্যাকেটে রোগীকে সরবরাহ করতে হবে।
এই কঠোর নির্দেশনার ফলে, এখন থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের এক টাকাও বেশি কোনো প্রতিষ্ঠান নিতে পারবে না। যদি কোনো হাসপাতাল বা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দাবি করে, তবে ক্রেতা বা রোগীর পক্ষ থেকে তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ হার্ট অ্যাটাক বা অন্যান্য হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি এনে দেবে। এতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের সাশ্রয়ী মূল্যে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা পাওয়া আরও সহজ হবে।