সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ ২০২৫ । নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে লাখো মানুষের জমায়েত ঢাকায়?
জাতীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংহতি প্রকাশ, ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়নের দাবি- ঢাকা, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর, ২০২৫): নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাসমাবেশে বাংলাদেশ ডাক বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের লক্ষাধিক কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু নাসির খান তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালের পর সরকারি কর্মচারীদের বেতন আর বৃদ্ধি পায়নি। অথচ গত ১০ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বহুগুণ বেড়েছে, যার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
🔥 অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কড়া বার্তা
আবু নাসির খান উল্লেখ করেন, নবম পে-কমিশন গঠন করা হলেও সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন যে আগামী সরকার পে-স্কেল বাস্তবায়ন করবে। এই মন্তব্য সরকারি কর্মচারীদের মনে ‘আগুন ধরিয়ে দিয়েছে’ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেই জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট দাবি জানান।
🤝 রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংহতি
মো. ওয়ারেস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে কর্মচারীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবং জুনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি।
👥 অংশগ্রহণ
মহাসমাবেশে মো. জাকির হোসেন, আমিনুর রহমান ও রোকন উদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের হাজার হাজার কর্মচারীসহ লক্ষাধিক সরকারি কর্মচারী অংশ নেন। এছাড়াও মো. বাদিউল কবির, মো. মাহমুদুল হাসান, রবিউল জোয়াদ্দার, মো. লুৎফর রহমান, আ. হান্নান, মো. বেলাল হোসেন, খায়ের আহমেদ মজুমদার প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে সমর্থন জানান।

সরকারি কর্মচারীরা মূলত কি চায়?
মহাসমাবেশের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারি কর্মচারীরা মূলত নিম্নলিখিত দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে চায়:
-
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন: তাদের প্রধান ও মূল দাবি হলো অবিলম্বে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা।
-
বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা: তাদের দাবি হলো যেহেতু নিত্যপণ্যের মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
-
বাস্তবায়নের সময়সীমা: তারা চায় অন্তর্বর্তী সরকারই যেন জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে এই পে-স্কেল আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন করে।
সংক্ষেপে, তারা দ্রুত ও বৈষম্যহীনভাবে নতুন পে-স্কেল চায়, যা তাদের ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।


