মৌজা ম্যাপ অনুসন্ধান ২০২৪ । খতিয়ান বা মৌজা মানচিত্রের মূল্য কত?

খতিয়ান ট্রি বা চেইন হচ্ছে সার্ভে খতিয়ান থেকে নামজারি খতিয়ানের মধ্যে আন্তঃসংযোগ – মৌজা ম্যাপ অনুসন্ধান

খতিয়ানের ক্ষেত্রে সার্টিফাইড কপির আবেদনের জন্য অফিস কাউন্টার থেকে ডেলিভারি চাইলে কোর্ট ফি ৫০ টাকা এবং ডাকের মাধ্যমে নিজের ঠিকানায় ডেলিভারি চাইলে ডাকের ফি ৪০ টাকা অর্থাৎ কোর্ট ফি ও ডাক ফি মিলিয়ে ৯০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এছাড়াও দেশের বাইরে খতিয়ান ডেলিভারি নিতে চাইলে দেশ ভিত্তিক ডাক মাশুল এর চার্জ যুক্ত হবে। মৌজা ম্যাপ বা নকশার কপির আবেদনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডাকে আবেদন করতে হবে। ডাকের মাধ্যমে মৌজা মানচিত্র আপনার ঠিকানায় পৌছে যবে। এক্ষেত্রে মৌজা ম্যাপ বা নকশার জন্য ৫২০ টাকা ও ডাক ফি ১১০ টাকা মৌজা মানচিত্র ফি ও ডাক ফি মিলিয়ে ৬৩০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এছাড়াও দেশের বাইরে মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি নিতে চাইলে দেশ ভিত্তিক ডাক মাশুল এর চার্জ যুক্ত হবে। ম্যাপ অনুসন্ধান লিংক: settlement.gov.bd/map/mapsearch

খতিয়ানের সার্টিফাইড কপিতে নকল নবীশ, তুলনাকারী, রেকর্ড কিপার এবং অবশ্যই রেকর্ড রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনারের স্বাক্ষর থাকে। এছাড়া প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অন্য কোন কর্মচারীকে সার্টিফাইড কপি যাচাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হলে কপিতে তার স্বাক্ষরও থাকে।

জমির পর্চা হারিয়ে বা নষ্ট করে ফেললে অনলাইনে https://eporcha.gov.bd/ সিস্টেম মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে উক্ত পর্চার অনুরূপ সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি আপনার বা আপনার বাবার জমির খতিয়ান কিংবা দাগ নাম্বার দিয়ে অনলাইন ই পর্চা সিস্টেম https://eporcha.gov.bd/-তে সার্চ করুন। খতিয়ান, দাগ নাম্বার জানা না থাকলে জমির মালিক বা তার পিতার নাম দিয়ে সার্চ করেও আপনার জমি দেখতে পারবেন। খতিয়ানে করণিক ভুলে নাম সঠিক ছাপা না হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমে যোগাযোগ করুন।

গ্রাহকের খতিয়ানের হার্ড কপিতে সকল তথ্য সঠিক থাকলেও অনলাইনে অনেক ধরনের তথ্য ভুল দেখাচ্ছে, এক্ষেত্রে করনীয় কি?

নিজের জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়ে গেলে উক্ত রেকর্ড চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশিত হওয়ার এক বছরের মধ্যে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করতে হবে । সংশ্লিষ্ট জেলায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল না থায়াকলে কিংবা আবেদনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে স্বত্ত্ব ঘোষণার জন্য মামলা করা যেতে পারে।

খতিয়ান টি যখন অনলাইনে লিপিবদ্ধ হয়েছে তখন ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে হার্ড কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমে যোগাযোগ করতে হবে। তারা এটি সংশোধন করে পুনরায় অনলাইনে আর্কাইভ করবে।

খতিয়ানের প্রকার: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৪ ধরনের খতিয়ান রয়েছে। যথা: ১) সিএস খতিয়ান ২) এসএ খতিয়ান ৩) আরএস খতিয়ান ৪) বিএস/বিআরএস/সিটি খতিয়ান।

  1. ভূমি জরিপ শুরু হলে মৌজায়/এলাকায় পর্যায়ক্রমে ক ও খ ইস্তেহার জারী করা হয়। প্রচুর গণসংযোগ করা হয়। এমনকি মাইকিং করে সম্মানিত ভূমি মালিকগণকে অবহিত করা হয়।
  2. যখন মাঠ কর্মচারীগণ মৌজার নকশা তৈরী শুরু করবে তখন প্রত্যেক ভূমি মালিকের উচিত তাঁর নিজ নিজ জমির আইল সীমানা, বাড়ীর সীমানা সঠিক ভাবে দেখিয়ে দেওয়া যাতে নির্ভুল নকশা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
  3. ডিজিটাল জরিপের ক্ষেত্রে খতিয়ান/পর্চা হল্কা অফিসার/উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক সকল বৈধ কাগজপত্রাদি দেখিয়ে খতিয়ান তসদিক করিয়ে নিতে হবে।
  4. মাঠ ও তসদিককৃত খতিয়ানে ভুল পরিলক্ষিত হলে তসদিককৃত খতিয়ান তসদিকোত্তর যাঁচের পরে ৩০ কর্মদিবস ডিপি বা খসড়া প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস বা নির্ধারিত অফিসে দেয়া হবে। সেখানে গিয়ে নকশা ও রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখতে হবে নিজের হাতের তসদিককৃত খতিয়ান মূল রেকর্ড বই ও নকশার সাথে মিল আছে কিনা; তা সুন্দর ভাবে বুঝে নিতে হবে। খতিয়ানে মাঠ পর্যায়ের নম্বর পরিবর্তন করে একটি ডিপি নম্বর বসিয়ে নিতে হবে। যাদি কোন ভুল পরিলক্ষিত হয় তবে ডিপি চলাকালীন প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি দিয়ে (ডিপি চলাকালীন) ৩০ বিধি আপত্তি দায়ের করতে হবে।
  5. তসদিক খতিয়ান হলো জরিপ চলাকালীন একটি খতিয়ান । প্রথমে জরিপ চলাকালীন যে খতিয়ানটা প্রস্তুত করা হয় এটাকে ডিপি খতিয়ান বলা হয়। ডিপি খতিয়ান এর পর কানুঙ্গ ও উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার যাচাই বাচাই করে যে খতিয়ান দেওয়া হয় তাকে তসদিক খতিয়ান বলা হয়। এটা পরিবর্তন করা হয় না। এটা প্রিন্ট করা হয়। এটা যদি পরিবর্তন করতে হয় সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়ে আইনি নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়

জমি খাস হয়ে গেলে কি করবো?

মালিকানার কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আপনার অনুপস্থিতিতে জরিপে জমির রেকর্ড আপনার নামে না হয়ে সরকার বা অন্য কারো নামে হয়ে গেলে আপনাকে সঠিক রেকর্ডের দাবীতে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল না থাকলে বা সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে বিজ্ঞ দেওয়ানি আদালতে মামলা করা যাবে।

আপিল করণীয় কি? সংশ্লিষ্ট আপিল অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত নোটিশ পাওয়ার পর বাদী/প্রতিবাদী পক্ষ ৩১ বিধি আপিল অফিসারকে যার যার কাগজপত্র প্রদর্শন করবেন। যদি নকশা সংশোধনের বিষয় হয় তবে আপত্তির মতো প্রয়োজনীয় ফ্রি দিয়ে বিধি মোতাবেক বদর দাখিল করিবেন। বদর তদন্ত সমপনান্তে প্রতিবেদন দাখিলের পর শুনানীর মাধ্যমে আপিল নিস্পত্তি করা হবে। যদি বদর প্রয়োজন না হয় তবে বাদী/প্রতিবাদীর বক্তব্য ও আনুষঙ্গিক পর্যালোচনা করে আপিল অফিসার আপিল নিস্পত্তি করতে পারবেন বা করবেন।

তথ্য সূত্র দেখুন

নতুন ভূমি আইন ২০২৩ pdf । নতুন ভূমি আইন ২০২৩ দলিল যার জমি তার চূড়ান্তভাবে পাশ হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *