📶 ফুল নেটওয়ার্ক কিন্তু স্পীড স্লো? জেনে নিন আসল কারণ ও সমাধান!

আপনার ফোনে নেটওয়ার্ক বারে ফুল 4G দেখাচ্ছে, কিন্তু ব্রাউজিং বা ইউটিউব চলছে না? আপনি একা নন। অনেক সময়ই দেখা যায়, নেটওয়ার্ক আইকন সম্পূর্ণ ভরা থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত ধীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে একাধিক প্রযুক্তিগত কারণ রয়েছে।

স্পীড স্লো হওয়ার প্রধান কারণগুলো:

১. ব্যান্ডের পার্থক্য ও ক্যারিয়ার এগ্রিগেশন:

নেটওয়ার্ক স্পীড নির্ভর করে আপনার ফোনটি কোন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের (যেমন 900MHz, 1800MHz, 2100MHz) সাথে সংযুক্ত আছে তার উপর।

• 900MHz ব্যান্ডে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল শক্তিশালী দেখালেও এর ব্যান্ডউইথ কম হওয়ায় স্পীড কম হতে পারে।

• তুলনামূলকভাবে, 2100MHz ব্যান্ডে একই ফুল নেটওয়ার্ক দেখালেও স্পীড অনেক বেশি পাওয়া যায়।

• একাধিক ব্যান্ড একসাথে যুক্ত থাকলে তাকে ক্যারিয়ার এগ্রিগেশন (4G+) বলে, যেমন 2100+1800+900। এই অবস্থায় তাত্ত্বিকভাবে স্পীড সবচেয়ে বেশি আসার কথা।

২. সিগন্যাল কোয়ালিটি: নয়েজ একটি বড় সমস্যা

শুধু নেটওয়ার্কের শক্তিই যথেষ্ট নয়, সিগন্যালটি ‘ক্লিন’ হওয়া জরুরি। নেটওয়ার্ক সিগন্যালে নয়েজ (Noise) থাকলে স্পীড মারাত্মকভাবে কমে যায়। এই গুণগত মান পরিমাপ করা হয় SNR (Signal-to-Noise Ratio) ভ্যালু দিয়ে।

নয়েজ কেন আসে? খারাপ আবহাওয়া, আশেপাশে অতিরিক্ত রেডিও সিগন্যাল, বা টাওয়ার অনেক দূরে থাকাও এর কারণ হতে পারে।

৩. টাওয়ার ক্যাপাসিটি ও ইউজার সংখ্যা:

ফুল নেটওয়ার্ক ও ভালো SNR থাকা সত্ত্বেও স্পীড কম হলে বুঝতে হবে, আপনার অপারেটরের টাওয়ারে ব্যবহারকারী (ইউজার) অতিরিক্ত বেশি। টাওয়ারের ক্যাপাসিটি বা ব্যান্ডউইথ কম হলে অথবা ফাইবার কানেক্টিভিটি না থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪. দুর্বল মডেম:

আপনার ফোনের মডেমটি দুর্বল হলে এটি 4G+ সংযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না। সাধারণত 5G সাপোর্টেড ফোনগুলোর মডেম শক্তিশালী হয়, যার ফলে একই 4G নেটওয়ার্কেও তারা অনেক ভালো স্পীড এবং প্রপার 4G+ সাপোর্ট দিতে পারে।

আপনার জন্য সম্ভাব্য সমাধান:

১. এয়ারপ্লেন মোড টগল করুন: ফোনের এরোপ্লেন মোড চালু ও বন্ধ করুন। এতে ফোন সিগন্যাল রিফ্রেশ করে অনেক সময় একটি ভালো ব্যান্ড বা টাওয়ারের সাথে যুক্ত হয় এবং ৯০% ক্ষেত্রেই স্পীড সমস্যার সমাধান হয়।

২. লোকেশন পরিবর্তন করুন: ভালো SNR ভ্যালু না পেলে ঘরের মধ্যে অবস্থান পরিবর্তন করুন বা অন্য রুমে যান।

৩. অপারেটরের কাছে অভিযোগ: ক্যাপাসিটিজনিত সমস্যার জন্য আপনার নেটওয়ার্ক অপারেটরকে সরাসরি কমপ্লেইন করুন।

৪. ডিভাইস আপগ্রেড: যদি সুযোগ ও প্রয়োজন থাকে, তবে একটি শক্তিশালী মডেমযুক্ত (সাধারণত 5G সাপোর্টেড) ফোনে আপগ্রেড করতে পারেন। এতে 4G নেটওয়ার্কেও স্পীড কিছুটা হলেও বাড়বে।