২১ শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস ২০২৪ । ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বক্তব্য
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শহীদ হন। এই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়– ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি কর্মসূচী পালন কবে? মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ) ও দপ্তরসমূহে সঠিক নিয়মে সঠিক রং ও মাপের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। সূর্যোদয়ের সময়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের সময় জাতীয় পতাকা নামাতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ) ও দপ্তরসমূহ ২১ ফেব্রুয়ারি-২০২৪ তারিখ (বুধবার) প্রভাতে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ) স্ব-স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। শিক্ষার্থীরা দিবসটির সাথে সংগতি রেখে কবিতা, গল্প ও সৃজনশীল লেখা লিখে এবং ছবি এঁকে শেখ রাসেল দেয়ালিকায় উপস্থাপন করবে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কি? সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, এবং আমার প্রিয় সহপাঠীগণ, আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে, ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে, আমরা ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৫২ সালের এই দিনে, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর সহ বেশ কয়েকজন নিরীহ ছাত্র শহীদ হন। তাদের ত্যাগ ও বलिদান আজও আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। ভাষা আন্দোলন শুধু একটি ভাষার জন্য সংগ্রাম ছিল না, বরং এটি ছিল আমাদের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি যে, আমরা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত। আজকের দিনে আমাদের শুধু শহীদদের স্মরণ করাই নয়, বরং তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আমাদের সকলের উচিত আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে ভালোভাবে চর্চা করা এবং এর প্রসারে কাজ করা। এছাড়াও, আমাদের বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। আসুন, আমরা সকলে মিলে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে একটি জাতীয় ঐক্য ও সংহতির দিবস হিসেবে পালন করি। জয় বাংলা!
২১ শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস কি? ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। এই দিনে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শহীদ হন। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৫২ সালের ১১শে ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বাংলা ভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। ১৯৫২ সালের ১৪শে ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ‘ভাষা দিবস’ পালন করে এবং শোভাযাত্রা বের করে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি: বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশ গুলি চালায়। এই ঘটনায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর সহ বেশ কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। ১৯৫৪ সালের ২৯শে মার্চ: বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর: ইউনেস্কো ‘২১শে ফেব্রুয়ারি’ কে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি: প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু একটি দিন নয়, এটি আমাদের ভাষা প্রেম, সংস্কৃতি এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ভাষার জন্য কত মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি । ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বক্তব্য
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি বাংলা ভাষা এবং বাঙালি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং ভাষা অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।Caption: info source
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতির পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলা ভাষা ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ সংহতিসূচক। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধক্ষেত্রে ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গেয়ে তাদের মনোবল দৃঢ় করতেন।
- ইউনেস্কোর প্রস্তাব: ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য।
- বিশ্বব্যাপী সমর্থন: বাংলাদেশের প্রস্তাবটি বিশ্বের বহু দেশের সমর্থন লাভ করে।
- ইউনেস্কোর সিদ্ধান্ত: ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে কবে স্বীকৃতি পায়?
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শহীদ হন। এই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য কি? ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ পালিত হয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশ গুলি চালায়। এই ঘটনায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ অনেক ছাত্র শহীদ হন। তাদের ত্যাগ ও বलिদানের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শোক দিবস হিসেবে ‘শহীদ দিবস’ পালন করা হয়। এ দিনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং সকালে শহীদদের স্মরণে বেলা নামানো হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করা হয়। এ দিনটি আমাদের ভাষা প্রেম ও ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। শহীদদের ত্যাগ স্মরণে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ব পালন করা উচিত।
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শহীদ হন। এই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়– ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি কর্মসূচী পালন কবে? মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ) ও দপ্তরসমূহে সঠিক নিয়মে সঠিক রং ও মাপের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। সূর্যোদয়ের সময়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের সময় জাতীয় পতাকা নামাতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ) ও দপ্তরসমূহ ২১ ফেব্রুয়ারি-২০২৪ তারিখ (বুধবার) প্রভাতে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ) স্ব-স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। শিক্ষার্থীরা দিবসটির সাথে সংগতি রেখে কবিতা, গল্প ও সৃজনশীল লেখা লিখে এবং ছবি এঁকে শেখ রাসেল দেয়ালিকায় উপস্থাপন করবে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কি? সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, এবং আমার প্রিয় সহপাঠীগণ, আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে, ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে, আমরা ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৫২ সালের এই দিনে, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর সহ বেশ কয়েকজন নিরীহ ছাত্র শহীদ হন। তাদের ত্যাগ ও বलिদান আজও আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। ভাষা আন্দোলন শুধু একটি ভাষার জন্য সংগ্রাম ছিল না, বরং এটি ছিল আমাদের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি যে, আমরা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত। আজকের দিনে আমাদের শুধু শহীদদের স্মরণ করাই নয়, বরং তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আমাদের সকলের উচিত আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে ভালোভাবে চর্চা করা এবং এর প্রসারে কাজ করা। এছাড়াও, আমাদের বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। আসুন, আমরা সকলে মিলে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে একটি জাতীয় ঐক্য ও সংহতির দিবস হিসেবে পালন করি। জয় বাংলা!
২১ শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস কি? ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। এই দিনে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শহীদ হন। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৫২ সালের ১১শে ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বাংলা ভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। ১৯৫২ সালের ১৪শে ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ‘ভাষা দিবস’ পালন করে এবং শোভাযাত্রা বের করে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি: বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশ গুলি চালায়। এই ঘটনায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর সহ বেশ কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। ১৯৫৪ সালের ২৯শে মার্চ: বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর: ইউনেস্কো ‘২১শে ফেব্রুয়ারি’ কে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি: প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু একটি দিন নয়, এটি আমাদের ভাষা প্রেম, সংস্কৃতি এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ভাষার জন্য কত মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি । ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বক্তব্য
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি বাংলা ভাষা এবং বাঙালি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং ভাষা অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।Caption: info source
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতির পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলা ভাষা ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ সংহতিসূচক। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধক্ষেত্রে ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গেয়ে তাদের মনোবল দৃঢ় করতেন।
- ইউনেস্কোর প্রস্তাব: ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য।
- বিশ্বব্যাপী সমর্থন: বাংলাদেশের প্রস্তাবটি বিশ্বের বহু দেশের সমর্থন লাভ করে।
- ইউনেস্কোর সিদ্ধান্ত: ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে কবে স্বীকৃতি পায়?
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শহীদ হন। এই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য কি? ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ পালিত হয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশ গুলি চালায়। এই ঘটনায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ অনেক ছাত্র শহীদ হন। তাদের ত্যাগ ও বलिদানের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শোক দিবস হিসেবে ‘শহীদ দিবস’ পালন করা হয়। এ দিনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং সকালে শহীদদের স্মরণে বেলা নামানো হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করা হয়। এ দিনটি আমাদের ভাষা প্রেম ও ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। শহীদদের ত্যাগ স্মরণে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ব পালন করা উচিত।
Pingback: শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2023 - All Job Circular