এইমাত্র পাওয়া

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ: ঐতিহাসিক ‘জুলাই সনদ’ সহ জনমত জরিপের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত

ঢাকা, ৯ নভেম্বর ২০২৫: দেশের ভবিষ্যৎ সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের (National Consensus Commission – NCC) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর সুপারিশমালা ও জনমত জরিপের ফলাফলসহ মোট আট খন্ডের এই প্রতিবেদন সকলের অবগতির জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশসমূহ, বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ, ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের দেওয়া মতামত, দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনার সারসংক্ষেপ, কমিশনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং কমিশনের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটির সবগুলো খন্ড https://reform.gov.bd ঠিকানার ওয়েব পেইজে আপলোড করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন ছাড়াও এর আগে ও পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের সকল প্রতিবেদনও একই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

সংস্কার প্রক্রিয়া ও সনদের বাস্তবায়ন

প্রতিবেদনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হলো কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫, যা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে এই সনদ স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আলোকে ইতিমধ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করা হয়েছে, যা সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে শুরু করেছে।

ঐকমত্য কমিশনের গঠন ও সময়রেখা

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনসমূহের কার্যক্রম সমন্বয় ও চূড়ান্ত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

প্রথম ধাপে গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার প্রাক্কালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি হিসেবে রাখা হয়। অন্যান্য সংস্কার কমিশনের প্রধানগণও প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানগণের অপারগতার কারণে উক্ত দুই কমিশনের দু’জন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে কমিশনে যুক্ত করা হয়।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। কমিশনের ধারাবাহিক আলাপ-আলোচনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে একাধিক ধাপের আলোচনার ভিত্তিতে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চুড়ান্ত হয় ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫।

সবগুলো সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কি অনলাইনে আছে?

হ্যাঁ, আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবগুলো সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনই অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছাড়াও এর আগে ও পরে গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের সকল প্রতিবেদনও https://reform.gov.bd ঠিকানার ওয়েব পেইজে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *