১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব: জানুয়ারির মধ্যেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা
নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে নতুন পাঠ্যবই। পহেলা জানুয়ারি থেকে বই বিতরণ শুরু হলেও পুরো সেট বই হাতে পেতে শিক্ষার্থীদের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তনে পাঠ্যপুস্তকের ‘সফট কপি’ ওয়েবসাইটে আপলোডকরণ অনুষ্ঠানে সরকারের শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টারা এসব তথ্য জানান।
সময়মতো বই পৌঁছানোর নিশ্চয়তা
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার জানান, বছরের প্রথম দিনেই বই বিতরণ শুরু হবে। তবে সব শিক্ষার্থী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তাদের পূর্ণাঙ্গ সেট হাতে পাবে। তিনি বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্ভুল ও মানসম্মত বই তৈরি করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যাতে শিক্ষার্থীরা নিম্নমানের বা ভুল সংবলিত কোনো বই না পায়।”
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, বইয়ের ছাপার মান তদারকি করতে গিয়ে তারা সরাসরি প্রেসে গিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের চাপ থাকলেও দেশীয় প্রকাশনা সংস্থাগুলো নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রস্তুতির বর্তমান চিত্র
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভিন জানান:
-
১ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বই পৌঁছে যাবে।
-
বাকি বইগুলো জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সরবরাহ শেষ হবে।
-
শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর পরিশ্রমে কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, গত বছরের তুলনায় এবারের বইয়ের কাগজের মান ও মুদ্রণ অনেক উন্নত হয়েছে।
মানোন্নয়ন ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে জোর
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এনসিটিবিকে পাঠ্যবইয়ের গুণগত মানের দিকে আরও নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিশাল এই কর্মযজ্ঞে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে এনসিটিবির মূল কাজ হওয়া উচিত বইগুলো শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী ও বুদ্ধিবৃত্তিক হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখা।”
চ্যালেঞ্জ ও সমন্বয়
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, কিছু ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রকাশ হওয়ায় কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। যথাযথ সমন্বয়ের প্রয়োজন না হলে আরও আগেই (৭ বা ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে) বইয়ের কাজ শেষ করা সম্ভব হতো। তবে সব বাধা কাটিয়ে ২২ জানুয়ারির যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, অনেক প্রতিষ্ঠান তার আগেই বই সরবরাহ সম্পন্ন করেছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি এবং বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আজ থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বইয়ের সফট কপি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।


