মাটিতে মিশে গেছে তুরস্কের ৩ হাজার ভবন

উপরের চিত্র দেখে বোঝা যায়, কতটা ভয়ংকর ছিল তুরস্কে এই ভূমিকম্প। প্রায় তিন হাজার ভবনের ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এই ভূমিকম্প এতটাই ভয়াবহ ছিল পুরো তুরস্ককে  ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।


তুরস্কের  ভূমিকম্পের  বিস্তারিত

৮৪ বছর পরের এ ভূমিকম্পটি এতটাই তৃপ্ত ছিল যে তা পুরো তুরস্ক সহ সিরিয়া লেবানন এমনকি মিশরেও অনুভূত হয়েছে।সোমবার ভোর ৩:৪৫এর দিকে কেঁপে উঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকা।রিখটার  কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ।বিবিসির তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে অন্তত ৬৫০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এদিকে সিরিয়ায় কমপক্ষে ১০০০ জন মারা গেছেন। এছাড়াও ১০৪২ জন আহত হয়েছেন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এই দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। কিন্তু এবারের ভূমিকম্পটি ছিল অনেক ভয়াবহ। ১৯৩৯ সালে ডিসেম্বরে  তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৭. ৮ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। এর আগে ২০২০সালের জানুয়ারি ও অক্টোবরে দুবার ভূমিকম্প হয়। অক্টোবরের ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল তুরস্কের নিকটবর্তী গ্রীক দ্বীপ সামোস। এতে নিহত হন  ২৪ জন নাগরিক। আর জানুয়ারিতে ৯.৭ মাত্রায় ভূমিকম্পটি আঘাত আনে পূর্ব তুরস্কে,যা প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া,জর্জিয়া ও আরমানিয়াও অনুভূত হয়। এতে প্রাণ যায়  ২২ জনের। এর আগেও ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে আবারো কেঁপে উঠে তুরস্ক।  এই ভূমিকম্পে ১৩৮ জন নিহত ও ৩৫০ জন আহত  হয়। সে সে সময় ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল মোটামুটি। এর আগের বছরের মার্চে 6 মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়।  এতে নিহত হয়  ৫০ জন প্রায়। এবং সেই গ্রামটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এভাবে এই  দেশটিতে নানা ধরনের ছোটখাটো ভূমিকম্প ঘটেছে। এই এইবারের ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০০ ভবন ধসে পড়েছে এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। 

ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে

ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে দেশটি নিজস্ব টেকনিক প্লেটের বাইরেও আরো দুটি মহাদেশীয়  টেকটনিক প্লেটের উপর অবস্থান করছে। সেই প্লেট দুটি হল ইউরোপিয়ান ও আফ্রিকান টেকটনিকপ্লেট।আর একটি প্লেট এসে সংযুক্ত হয়েছে। সেটি হল এরাবিয়ান প্লেট। এসব প্লেটের মধ্যেও কোন একটি সামান্য নড়াচড়ার  অর্থই হলো ভূমিকম্পের সৃষ্টি হওয়া। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *