ভালোবাসা ও ভালোবাসা মানুষ । ভালবাসার অনুভূতি কেমন?

ভালোবাসা হলো একজনের প্রতি অন্য একজনের প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস এবং পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি একজনের প্রতি অন্য একজনে প্রতি পরিষ্কার এবং পরিবারের সাথে জুড়ে থাকা একটি ভালবাসা। ভালোবাসা ব্যক্তি পরিচয় এবং স্বামী-স্ত্রী, বংশজ এবং বন্ধুদের মধ্যে জোড়ে থাকতে পারে। ভালোবাসা কেমনগুলো হতে পারে তা ব্যক্তি পরিচয় এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বেছে নিতে পারে।

ভালোবাসা অনেক পর্যায়ে জীবন এবং সম্পর্ক উন্নয়োগ্য করে তোলে।

ভালোবাসা বলতে মানুষের মনের আবেগ ও অনুভূতিকে বুঝায়। যা দেখা যায় না, ধরাও যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। মানুষ সেই ভালোবাসাকে তার মুখের কথা, চোখের ইশারা, বা তার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশ করে।

আসলে ভালোবাসা হচ্ছে কারো প্রতি অতিরিক্ত স্নেহের বহিঃপ্রকাশ। সেটা হতে দুজন দুজনের প্রতি অথবা একজন অন্যজনের প্রতি। তবে সাধারণত একতরফা ভালোবাসাকে পূর্ণাঙ্গ ভালবাসা বলা হয় না, ভালোবাসা হচ্ছে দুটি হৃদয়ের মিলন যেখানে একজন অন্যজনের প্রতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি হতে পারে শারীরিক বা মানবীয়


ভালোবাসা এমনই এক অনুভূতি যার দাবী অগ্রাহ্য করার শক্তি নেই কারোরই। আর অগ্রাহ্যই বা করতে হবে কেন? সৃষ্টিকর্তা ‘ভালোবাসা’ নামক অনুভূতিটি দিয়েছেন বলেই তো জগতটা এত সুন্দর, জীবন এতটা উপভোগ্য।

ভালোবাসাকে বিভিন্ন রুপেই দেখে থাকি আমরা। স্বামী-স্ত্রী, পিতামাতা-সন্তানসন্ততি, প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধুর জন্য বন্ধুর ভালোবাসা- এমনই আরো অগণিত রুপ রয়েছে এর। তবে আমাদের পৃথিবী এমন কিছু ভালোবাসার সাক্ষী হয়েছে, যার কারণে বদলে গিয়েছে পুরো ইতিহাসের গতিপথই। এই যেমন ধরুন একটি হানিমুন, শুধুমাত্র একটি হানিমুনই পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলো জাপানের শহর কিয়োটোকে। সেখানে চলে আসে নাগাসাকির নাম। বাকি ইতিহাস তো সবারই জানা। একইভাবে এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির আত্মহত্যাকেও দায়ী করা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ হিসেবে!

ধর্মীয় দৃষ্টিতে, ভালোবাসা হল একজনের অন্য স্বজনের প্রতি একটি মৃত্যু বাঁচানোর উদ্দেশ্যে প্রতিজ্ঞা করা এবং তার স্বার্থ সম্মান করা। ধর্মীয় দৃষ্টিতে ভালোবাসা হল একজনের অন্য স্বজনের প্রতি পালন করা, উন্নয়ন করা এবং সহায়তা করা। ধর্মীয় দৃষ্টিতে, ভালোবাসা হল ব্যক্তিত্বের প্রতি একজনের পূর্ণমুখী প্রতিজ্ঞা এবং স্নেহ।

মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা হল একজনের অপরিবার, দেশ, জাতি এবং জন্মভূমির প্রতি প্রতিজ্ঞা এবং স্নেহ। এটি হল একজনের মূল্য এবং অধিকার্য সম্পর্কে ব্যক্তিত্বের প্রতি সত্য বলা এবং তার মাতৃভূমি সম্মান করা। মাতৃভূমি হল একজনের জন্ম এবং বাড়ি, এবং এটি একজনের ইতিহাস, অধিকার্য, মূল্য এবং প্রতিবাদ সম্পর্কে ব্যক্তিত্বের প্রতি স্বর্ণক্রিয়া করে।

“আত্মীয় স্বজন” বা পরিবারের সদস্যগণের জন্য একজনের প্রতি স্নেহ, প্রিয়তা, স্বার্থ ও পরামর্শ থাকা। প্রতিটি স্বজনের প্রতি একজনকে একটা বিশেষ মান দেয় এবং তার বিরুদ্ধে কোন ক্ষেত্রে কিছু করার স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। সেই মানে আত্মীয় স্বজনের ভালোবাসা হল পরিবারের সদস্যগণের প্রতি একজনের পূর্ণমুখী ভালোবাসা এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্য।

একটি ভালোবাসার সম্পর্কে আপনার relation কে strong এবং দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য প্রয়োজন commitment। যখন আপনি একটি সম্পর্কে জরিয়ে পরেন তখন এটি আর গা-ছাড়া ভাবে নিবেন না। বরং ভালোবাসার মানুষটির সাথে মন খুলে কথা বলুন। আপনাদের সম্পর্কটি নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা, কয়েক বছর পর আপনারা নিজে দেরকে কোথায় দেখতে চান, যদি আপনি কিছু দিনের জন্য একটি সম্পর্ক করতে আগ্রহী হন তাহলে নিজে সৎ থাকুন আর সেটাই বলুন। আর যদি আপনি serious ভালোবাসা চান বা দীর্ঘমেয়াদি ভালোবাসা চান তাহলেও সেটা দুজন দুজনকে জানানো উচিত। অর্থাৎ আপনি যেকোনো ধরনের ভালোবাসা চান না কেনো সেটা আপনার সঙ্গী কে নিশ্চিত করতে হবে। সেও একি ধরনের ভালোবাসা চায় কিনা। যেনো আপনাদের মধ্যে ধোঁকা দেওয়ার ব্যাপারটা না আসে। এই কারনেই ভালোবাসার মানুষ টিকে promise করুন এবং নিজেদের ভাবনা চিন্তা clear রাখুন।

আপনার ভালোবাসার মানুষ টিকে এতোটাই গুরুত্ব দিন যাতে সে নিজেকে special মনে করে। তাতে আপনাদের সম্পর্ক আরো ভালো হতে থাকে।

বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এরা ভালোবাসতেও জানে না, ভালোবাসা নিতেও জানেনা। আপনাকে সবসময় আপনার ভালোবাসা কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আপনার সঙ্গী কেউ একটু ভালোবাসার সুযোগ দিন। আপনি নিজে care করেন দেখে সেও যদি একটু বেশি care করতে চায় তাহলে তাকে বাধা দিবেন না। যে তুমি কিন্তু আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসছো। এসব বলতে যাবেন না। এমনকি আপনি যদি নিজেও ভালো না বাসেন, সে যদি আপনাকে বেশি ভালোবাসে তাহলেও তাকে বাধা দিবেন না। মানে আপনাকে ভালোবাসা নিতেও শিখতে হবে। আপনার মনে হতে পারে আপনি হয়তো ঋণী হয়ে যাচ্ছেন। আমি বলবো এইসব না ভেবে ভালোবাসা টাকে উপভোগ করতে শিখুন। তাকেও ভালোবাসুন আর আপনি যদি একবার ভালোবাসা উপভোগ করতে শিখে যান তাহলে আপনার ও তাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করবে।

নিজের ভালোবাসার মানুষকে touch করা মানে শুধু sexual ভাবে বা খারাপ ভাবে touch করা সেটা না। মাঝে মাঝে হাত ধরা, একটা supporting ভাবে hug করা এইসব করার মাঝে ভালোবাসার একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। একটা অন্য ধরনের বিশ্বাস, caring, একটা ইতিবাচক আবেগ প্রকাশ পায়। যার ফলে আপনাদের সম্পর্কটা আরো মজবুত হয়। এবং আপনার সঙ্গী ও আপনার সঙ্গে ভালোবাসা অনুভব করে। আপনিও আপনার ভালোবাসা কে feel করতে পারবেন।

কখনো কখনো আমরা এমনভাবে কথা বলি যা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি না। কেউ কারোর কথায় একমত ও হই না আবার কেউ কারোর কথায় value দিচ্ছে কিনা বা respect করছে কিনা সেটাও বুঝতে পারি না। তার জন্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আপনার সঙ্গীর কাছে আপনার উপলব্ধি টা নিশ্চিত করুন। এবং তাকে দেখান আপনি আপনাদের সম্পর্কটিকে একটি ভালো দিকে নিয়ে যেতে চান বা ভালো রাখার চেষ্টা করছেন। এবং আপনার ভালোবাসার মানুষটিও আপনাকে ভালো রাখার জন্য যা করছেন সেগুলো accept করুন। এগুলো করার মধ্যেই দেখবেন আপনাদের সম্পর্কটা অনেক ভালো থাকবে।

আপনি যাকে ভালোবাসেন সবসময় তাঁর কাছে perfect খুজবেন না।আপনার নিজের মধ্যে ও যে সবসময় perfect থাকবে তার ও কোনো কথা নেই। কারণ আমরা অনেক সময় না চাওয়াতে একটু বেশি পেয়ে গেলে আরো পাওয়ার expect করে ফেলি এবং মনে মনে তাঁকে হয়তো অন্য দের সাথে ও তুলনা করে ফেলি। তাকে avoid করে ফেলি তাকে কষ্ট দিয়ে ফেলি।কিন্তু আমরা তাঁর কাছে যে টুকু পাই সেটা নিয়ে কখনোই ভালো থাকার চেষ্টা করি না। সহজভাবে নেই না। তাই আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু ভুল হলে ভাবুন এটি আপনাদেরই ভুল। আপনাদের দুজনেরই দায়িত্ব একে অপরের ভুলটিকে ঠিক করা। ভালোবাসা তো এটাই। আপনার কি মনে হয় এটাই ভালোবাসা তো?

একটা ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে ভুল তো কিছু থাকবেই। কখনো আপনি হয়তো ভুল করে ফেলবেন, কখনো হয়তো আপনার সঙ্গীনী আপনাকে hurt করে ফেলবে। সব থেকে ভালো relation গুলো যেগুলো আমরা Facebook এ সব সময় দেখে থাকি আর আমরা ভাবি বাহ্ ওরা তো বেশ ভালোই আছে। তাদের মধ্যে ও কিন্তু রাগ, অভিমান সব কিছুই আছে।
কিন্তু তাদের মধ্যে আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য টা হলো তারা বোঝে এবং তারা তাদের সম্পর্কের খারাপ দিকগুলো ঠিক করে নেয়। আর আমরা সবই বুঝি কিন্তু কিছুই করি না।সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটাই যখন আপনাদের সম্পর্কে খারাপ সময় যাচ্ছে তখন সেই খারাপ সময় থেকে কিছু শিখার চেষ্টা করুন। Break up শব্দটি কখনো মুখে ও না এনে নিজেদের ভুল গুলো নিজেরাই বোঝার চেষ্টা করুন। যে কিনা ভুল করছে তাঁর সাথে কিছুক্ষণের জন্য রাগ করে আবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সে যদি আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে তাহলে নিশ্চয় আপনাকে বুঝবে। আমাদের সম্পর্ক গুলোতে যখন কেউ একজন ভুল করি এবং পরে সেই ভুল গুলি ঠিক করতে পারি তখন কিন্তু আমাদের সম্পর্ক খুব strong হয়ে যায়। আপনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন তাহলে ভুল টিকে স্বীকার করতে শিখুন। শুধুমাত্র তর্কে জেতার জন্য আলতু ফালতু কথা বলে কি লাভ।

প্রতিটি সম্পর্ককে ভালো রাখার জন্য নিজেদের মধ্যে সবকিছুর একটা balance তৈরি করা খুব প্রয়োজন। গবেষণা করে দেখা গেছে যারা সবটা বুঝে শুনে এবং সবকিছু balance রেখে চলেছে তাদের সম্পর্কটাই টিকেছে। সব relation ই তিন মাস পরে break up এর দিকে চলে যায়। তাই সবটা balance করে চলা উচিত। যখনই আপনি বুঝবেন আপনি এমন কিছু বলে ফেলেছেন যার জন্য আপনার সঙ্গী হয়তো রেগে যাচ্ছে তখন যথাযথ চেষ্টা করুন তাকে খুশি করার, নিজেদের মধ্যে always একটা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

আপনার ভালোবাসার মানুষটি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসে কিনা সেটা বোঝার জন্য প্রথমই আপনাকে তার মন বুঝতে হবে। তবে অন্য কারোর মনকে পুরো পুরি বুঝতে পারা কখনোই possible নাহ। কিন্তু যখন আমরা কাউকে সত্যি কারের ভালোবেসে ফেলি তখন আমাদের behaviour এ অনেক রকম পরিবর্তন আসে। আর এই ছোটো খাটো behaviour থেকে এটাও বোঝা সম্ভব যে আমাদের প্রিয় মানুষটি আমাদের আদৌ ভালোবাসে কিনা।

যে মানুষ আপনাকে ভালোবাসে সে always আপনাকে সম্মান করবে। আপনাকে গুরুত্ব দেবে। আর এই respect যে শুধু অন্য মানুষের সামনেই দেখাবে তা কিন্তু নয়। সত্যি কারের ভালোবেসে থাকলে সে আপনাকে always যে কোনো পরিস্থিতিতে সম্মান করবে, এমনকি যদি আপনি এমন কিছু করে ফেলেন যাতে সে আপনার কথায় অনেক রেগে যায় বা কষ্ট পায় বা ঝগড়া ও হয়ে যায়, কারণ প্রয়োজনের সময় সম্মান তো সবাই দেখাতে পারে, কিন্তু যে সত্যি কারের ভালোবাসে সে সব সময় ভালোবাসতে জানে সেটা কঠিন সময় হোক বা ভালো সময় হোক।

ভালোবাসা এমন ই একটি শব্দ যা কখনো দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মাপকাঠি বা পরিমাপ করা যায় না। ভালোবাসা কখনো ফুরিয়ে যায় না। ভালোবাসা অফুরন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *