পৃথিবীতে ভয়ংকর ও বিস্ময়কর ৪টি  ভুতুড়ে জায়গা

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট এই পৃথিবীাট আসলেই অনেক রহস্যতে ঘেরা।রহস্যময় এই পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বা অতিপ্রাকৃতিক রহস্যের সীমা নেই।আজব সব ঘটনার কারণে যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে হাজারো রহস্য ঘেরা আমাদের এই পৃথিবী।যার মধ্যে আবার কিছু স্থান ও ঘটনা রয়েছে যা অতি প্রাকৃতিক আশ্চর্য হওয়ার মতো। আর এ কারণেই এগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে হাজারো রহস্য ঘেরা।বিজ্ঞানীরা ও এই রহস্যের  খোঁজ করতে পারেননি তাই এগুলোকে অতিপ্রাকৃতিক বা অদ্ভুত জায়গা হিসেবে ভাবা হয় বা ধরা হয়।

মানুষ আজকাল চাঁদে ও মঙ্গল গ্রহে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টায় থাকলেও এসব ঘটনা বা স্থান সম্পর্কে তাদের ধারণা এখনো হয়নি।এমন আরো অনেক রহস্য আমাদের পৃথিবীতে রয়েছে যা উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।আমাদের পৃথিবী একদিকে যেমন বৈচিত্র্যময় ঠিক তেমনি অন্যদিকে একটি রহস্যময় পৃথিবী।যার রহস্য পুরোপুরি এখনো কেউ উদঘাটন করতে পারেনি।

১ শয়তানের সমুদ্র

শয়তানের সমুদ্র এর কাজ অনেকটা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এর মতো। জাপানের কাছে প্রশান্ত  মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত এই জায়গায় হাজার হাজার আজব ও ভয়ঙ্কর ঘটনা রেকর্ড করা হয়।যার কোন ব্যাখ্যা নেই।এই জায়গায় জাহাজ,মানুষ এমনকি অনেক প্লেনও নাকি গায়েব হয়ে গিয়েছে। জাপানের ফিশিং অথরিটিভ  এই জায়গাটিকে বিপদজনক বলে ঘোষণা করেছিল।১৯৫২ সালে জাপানি সরকার ৩১ জন গবেষক সহ একটি জাহাজ পাঠিয়ে ছিলেন।আর বলাবাহুল্য সেই জাহাজ সহ মানুষগুলোকে আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি।তাদের কি হয়েছে বা তাদের সাথে কি হতে পারে বা তারা জীবিত নামৃত তাও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।এই জায়গাটিকে সবাই ভিনগ্রহ বাসীদের আস্তানা বলে থাকে।সবার ধারণা এই জায়গা থেকে  ভিনগ্রহের যাওয়া আসার একটি দরজা অথবা কোন পথ রয়েছে।

২ রক্তের জলপ্রপাত

একদল গবেষক এন্টার্কটিকা মহাদেশে গিয়ে রক্তের জলপ্রপাত দেখতে পান।তাদের ধারণা ছিল এটি হয়তো কোন প্রাণী অথবা অনুজীব দ্বারা সংঘটিত হয়েছে।যদিও তাপমাএা শূন্যের অনেক নিচে টিকে থাকা মুশকিল বা কষ্টসাধ্য।তাই এখানে কোন অনুজীব অথবা প্রাণীর থাকার কথা না।কিন্তু অনেকে মনে করেন এখানকার মাটিতে থাকা আইরন ও সালফেটের কারণে এখানকার মাটি লাল রং ধারণ করেছে।আবার অনেকে এটাও বলেন যে,যদি মাটিতে থাকা লাল রং বা সালফেট বা আয়রনের কারণে পানি লাল রং ধারণ করে,তবে পানি জমে বরফের আইসক্রিমের মতো হলো না কেন। আজও গবেষকরা এর কোন উত্তর খুঁজে পাননি।

৩ পয়েন্ট প্লেজেন্ট

১৯৬৬ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত এই জায়গাটি একটি অদ্ভুত প্রাণীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।এটি মূলত এই জায়গার বিরলতা।পয়েন্ট প্লেজেন্ট জায়গাটি আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত।আর এখানে যে প্রাণীর গুজবের কথা বলা হয়েছে তার নাম হলো ম্যাথম্যান্ট।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে প্রাণীটি ৩ ফিট লম্বা ও অনেক বড় পাজরের দেখতে মানুষের মত যার অনেক বড় ডানা আছে।অনেকে এটিকে বিশ্বাস করে না।এলাকার লোকাল লোকজন ও বসবাসকারী মানুষেরা বিশ্বাস করেন যে,একটি প্রাণী রয়েছে যার কারণে ঘটেছে এসবকিছু। অনেকে এটি কে স্বচক্ষে দেখেছে বলে দাবি করেন।

৪ বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলটি আমেরিকায় অবস্থিত।এই জায়গাটি সুপারন্যাচারাল বিভিন্ন কার্যকলাপে পরিপূর্ণ। এখানে অনেক আজব আজব ঘটনা ঘটেছে যার বর্ণনা কেউ এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি।অনেকে ভাবে বৈজ্ঞানিক কারণ অনেকে ভাবেন আধ্যাত্মিক কোনো কারণ বা অন্য গ্রহের কোন প্রাণীর কারণ।কিন্তু এই রহস্যের সমাধান কেউ দিতে পারেনি।বারমুডাট্রায়াঙ্গেল শয়তানের ত্রিভুজ নামেও পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল এটি।এই জায়গায় এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক মানুষ এবং উড়োজাহাজ এখানে এসে ধ্বংস হয়ে হারিয়ে গিয়েছে,যেগুলো পরবর্তীতে আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।অনেক মানুষও এখানে এসে হারিয়ে গিয়েছে।অনেকে মনে করেন এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়,আবার অনেকে এটিকে রহস্যময় বলে ধারণা করেন। আবার অনেকে এটিকে ভিনগ্রহী প্রাণীদের কার্যকলাপ বলেও ধারণা করে থাকেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *