পথেঘাটে ঘুমিয়ে পড়ে পুরো গ্রাম, কারণ জানলে চমকে যাবেন

আমাদের পৃথিবীতে এমনও অনেক জায়গা রয়েছে ,যে সব সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। এমনই বিস্ময়কর একটি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামে মানুষ,পশু,পাখি সবাই যেকোনো সময় এখনো জায়গায় হঠাৎ করেই  ঘুমিয়ে পড়ে। এই মরণ ঘুম থেকে কেউই রক্ষা পায় না।

গ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

দেশটির নাম কাজাখাস্তান ও  গ্রামের নাম কালাছি। একটি পুরো গ্রামের লোকজন কখনো কখনো পথ চলতে চলতে রাস্তায়, কাজ করতে করতে কর্মস্থলে, এমন কি স্কুলেতেও বাচ্চারা ঘুমিয়ে  পড়ে। এই ঘুমের কোন কারণ নেই। সবাই যেকোনো সময় ঘুমিয়ে পড়ছে অথচ কেউ ক্লান্ত নয়। কারো ঘুম ভাঙছে ৬-৭ ঘন্টা পর, আবার কারো ঘুম ভাঙছে ২-৩ দিন পর। একদিন নয় বছরের পর বছর ধরে ঘটছে এই ঘটনা।

এই ঘুমের আসল কারণ 

এই গ্রামটিকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি দিয়েছে এই বিরল ঘুমের ঘটনা। পুরো বিশ্ব এখন এ গ্রাম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। ঘুম ভাঙার পরে মানুষের মধ্য বিভিন্ন  পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন: মাথা ব্যথা করা, একদিন ঘুমালে অনেক দিন মাথা ঝিমঝিম করা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, হ্যালোস্রেনিয়াসেশন হওয়া ইত্যাদি। এই ঘুমের কারণ কি? এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা কোন তথ্য দিতে পারেননি। তাদের সন্দেহ এ গ্রামের সকল মানুষের মধ্যেও এক ধরনের মানসিক রোগ রয়েছে যে কারণে তারা এভাবে ঘুমিয়ে পড়ছে। বিভিন্ন চিকিৎসকগণ একে একে ভিন্ন দেশ থেকে ঐ গ্রামে এসে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন। গ্রামের পানি, মাটি, ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। গ্রামবাসীদের মস্তিষ্ক স্ক্যানিং করে দেখা যায়, তাদের মস্তিষ্ক ও শরীরে রয়েছে অধিক তরল পদার্থ। চিকিৎসার পরিভাষায় মস্তিষ্কের তরল পদার্থের উপস্থিতিকে  ইডিমা বলে। কিন্তু গ্রামবাসীদের ধারণা তাদের এই ঘুমের পিছনে রয়েছে  অদূরের  খনির বাতাস।কালাছি গ্রামের পাশেই রয়েছে একটি খনি, গ্রামবাসীদের ধারণা ঐ খনি থেকেই ইউরেনিয়াম এর বাতাসের  ফলে তারা এভাবে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ছেন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, সেখানে কোন  অধিক রেডিয়েশন খুঁজে পাননি। এমনকি পানি বা মাটিতে কোন বিষাক্ত উপাদান পাওয়া যায়নি যার ফলে লোকজন ঘুমিয়ে পড়তে পারে।২০১৫ সালে এর আসল কারণ জানা যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেন রেডিয়েশন নয় বরং বাতাসে উপস্থিত কার্বন-মনোক্সাইড ও হাইড্রোকার্বনের অতিরিক্ত পরিমানের ফলে  গ্রামের লোকজন ঘুমিয়ে পড়েন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *