ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় ২০২৩ । বসন্তের শুরুতে ঠান্ডা-সর্দি-কাশি-জ্বর সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়

ঋতুর পরিবর্তনে শীতের শেষে আসছে বসন্তকাল। তবে শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে আপনি যে কোনো সময়ই ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন জ্বর-কাশিতে ভুগতে পারেন। এছাড়াও এলার্জিজনিত হাঁচি-কাশির সমস্যাও এ সময় বেশী হয়, তাই যাদের এই এলার্জি আছে, তাদের নিতে হয় বাড়তি সতর্কতা। বসন্ত ঋতুতে শরীরে সাধারণত গলা ব্যথা, এলার্জির সমস্যা, হাঁচি-কাশি, জ্বর, পেটের অসুখ, মাথা ব্যথা, চোখ ওঠা রোগ, নাকের সমস্যা ও শরীর ব্যথার মতো সমস্যাগুলো বেশি হয়। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এ সময় সাধারণ জ্বর যা ফ্লু নামে পরিচিত এবং ঠান্ডাজনিত গলা ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন।

কারণ

এ ঋতুতে আবহাওয়া পরিবর্তনটা হয় একটু দ্রুতই। যার ফলে বাতাসের আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয় বারবার। যেহেতু দ্রুত তাপমাত্রা ওঠা-নামা করে এবং এর ফলে আমাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থা হঠাৎ করেই ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। এতেকরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হঠাৎই একটু দুর্বল হয়ে পড়ে; আর সেই সুযোগটাই গ্রহণ করে বিভিন্ন রোগ জীবাণু। আবার এ সময়ে ফুলের রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। যার ফলে এই ভেসে বেড়ানো ফুলের রেণু ও রাস্তার ধুলা ধোঁয়া নিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শ্বাসনালিতে ঢুকে পড়ে শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে।

প্রতিকার

জ্বরঃ ঠান্ডা-কাশি-জ্বর সহ মাথাব্যাথায় আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। তবে প্রাথমিক হিসাবে যথাযথমাত্রায় প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। আর এর পাশাপাশি সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো তোয়ালে বা পরিস্কার ন্যাকড়া দিয়ে মাথা সহ সারা দেহ মুছে দেওয়া যেতে পারে। আর জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারেন। সাথে প্রচুর পানি, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশী করে খাওয়া উচিৎ। তবে বাচ্চাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর ১০২ ডিগ্রির উপরে গেলেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।

হাঁচি-সর্দি

এটি প্রতিরোধের জন্য মূলত বাইরে নাকে-মুখে মাস্ক ব্যবহার করাই শ্রেয়। আর সাথে একটু একটু গরম পড়েছে বলে গরম কাপড় পরা একেবারে ছেড়ে দিতে নেই। বরং এ সময়ের ঠান্ডাবাতাস বুকে বসে গিয়ে অবস্থা আরও বেগতিক করে দিতে পারে। সাধারণত ২-৪ দিনের মধ্যে হাঁচি-সর্দি ঠিক হয়ে যাবার কথা, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি ২/৩ সপ্তাহও লাগতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *