ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ ২০২৩ । ম দিয়ে অর্থ সহ ছেলেদের কিছু ইসলামিক নাম
প্রত্যেক মানুষের জীবনে সবচেয়ে আনন্দময় মূহুর্ত হলো যখন তার ঘর আলোকিত করে ছোট্ট শিশুটির আগমন ঘটে। অথচ এই আনন্দের মাঝে তার নাম রাখা নিয়ে চলে এলো নানা জনের নানা মত। মনে রাখতে হবে মুসলিম হিসেবে সন্তান জন্মের পর সুন্দর ইসলামিক অর্থবহ নাম রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা এটা তার হক। তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে বিজ্ঞ, আলেমের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইসলামিক নাম বাংলায় রাখার কারণ হলো ইসলাম ধর্মে নাম গুলোর স্থানে অর্থ থাকে যা ধর্ম ও মানব সমাজের মধ্যে উপস্থাপন করে। ইসলামিক নামের অর্থ অনেকটা ধর্মীয় ও আধুনিক জীবনের মানসিকতা ও শিক্ষামূলক প্রভাবে ভরপুর থাকে। ইসলামিক নাম হিসাবে ব্যবহার করা হয় মানুষের প্রথম ও শেষ নাম দুটির মধ্যে সংযোগ করে।
ইসলামিক নাম সম্পর্কে আরও জানতে নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো
- আব্দুল (অর্থঃ আল্লাহর দাস)
- আলিয়া (অর্থঃ উচ্চতর মানুষ)
- আমিনা (অর্থঃ নিরাপদ)
- আযীশা (অর্থঃ জীবন ও সুখের উত্স)
- জাকির (অর্থঃ স্মরণ করে আল্লাহ)
- জাহিদ (অর্থঃ প্রচন্ড প্রচেষ্টাশীল)
- সালেহা (অর্থঃ সৎ ও পবিত্র)
- সামিয়া (অর্থঃ শুনতে পারে)
- সবরিনা (অর্থঃ সমস্ত কাজ করতে পারে)
- সফিয়া (অর্থঃ জ্ঞানী ও সুবিচ)
সন্তানের নাম রাখা স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তবে ইসলামিক সংস্কৃতিতে নাম বহন একটি গৌরব এবং প্রশংসা সম্পন্ন বিষয়। একটি ইসলামিক নাম না ব্যবহার করলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু কোন ধর্মীয় বা সামাজিক প্রভাব থাকতে পারে।
আপনি নিজেও জানেন যে সন্তানের নাম একটি গৌরব এবং স্বভাবের প্রতিফলন, এবং আপনার মনে হলে নিজের চয়েস অনুযায়ী নাম রাখা উচিত। তবে একটি ইসলামিক নাম রাখা আপনার সন্তানের বৈশিষ্ট্য ও আদর্শগুলি উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে এবং সামাজিক পরিচিতির সময় কিছু সুবিধা ও গৌরব প্রদর্শন করতে সাহায্য করবে।
ম দিয়ে ছেলেদের কিছু ইসলামিক নাম অর্থ সহ নিম্নে দেওয়া হলো
- মাশরিফ (অর্থঃ মর্যাদাবান)
- মুশতাক (অর্থঃ আগ্রহী)
- মাহতাব (অর্থঃ চাঁদ)
- মুস্তাকিম (অর্থঃ সরল পথ)
- মিনহাজ (অর্থঃ পথ)
- মাসরুর (অর্থঃ সুখী)
- মাহদী (অর্থঃ সৎ পথ প্রাপ্ত)
- মাবরুর (অর্থঃ স্বীকৃত)
- মুশফিক (অর্থঃ দয়ালু)
- মুহসিন (অর্থঃ সৌন্দর্যময়)
- মুসাদ্দেক (অর্থঃ সত্যায়নকারী)
- মুস্তাফিজ (অর্থঃ উপকৃত)
- মাহমুদ (অর্থঃ প্রশংসিত)
- মুয়াজ (অর্থঃ উপযুক্ত সক্রিয়)
- মাহবুব (অর্থঃ প্রিয়)
- মুস্তোফা (অর্থঃ নির্বাচিত)
- মাহফুজ (অর্থঃ সুরক্ষিত)
- মুজতাহিদ (অর্থঃ সুপণ্ডিত)
- মিহির (অর্থঃ বন্ধুত্বপূর্ণ)
- মারিফ (অর্থঃ বিজ্ঞতা)
- মারুফ (অর্থঃ পরিচিত)
- মানসুর (অর্থঃ বিজয়ী)
- মামুন (অর্থঃ বিশ্বস্ত)
- মুনীফ (অর্থঃ বিখ্যাত)
- মুবীন (অর্থঃ স্পষ্ট)
- মুরাদ (অর্থঃ আকাংক্ষা)
- মাসুম (অর্থঃ নিষ্পাপ)
- মাকসুদ (অর্থঃ উদ্দেশ্য)
- মাসুদ (অর্থঃ সৌভাগ্যবান)
- মুহতাসিম (অর্থঃ ধর্মীরু)
- মুনেম (অর্থঃ উদার)
- মুসলেহ (অর্থঃ সংস্কারক)
- মুতহহার (অর্থঃ পবিত্র)
- মুইন (অর্থঃ সাহায্যকারী)
- মুহিব (অর্থঃ প্রেমিক)
- মুবাশশির (অর্থঃ সুসংবাদ দানকারী)
- মুরসালিন (অর্থঃ বার্তা বহ)
- মনোয়ার (অর্থঃ আলোকিত)
- মুসতায়িন (অর্থঃ সাহায্যপ্রাপ্ত)
- মাসউদ (অর্থঃ ভাগ্যবান)
- মুখতার (অর্থঃ মনোনীত)
- মুশাররফ (অর্থঃ সম্মানিত)
- মেজবাহ (অর্থঃ প্রদীপ)
- মুমিন (অর্থঃ বিশ্বাসী)
- মাসনুন (অর্থঃ নবীর আদর্শ)
- মিরাজ (অর্থঃ সিড়ি)
- মুজাহিদ (অর্থঃ ধর্মযোদ্ধা)
- মিনহাজ (অর্থঃ পথ)
- মিফতা (অর্থঃ চাবি)
- মুসাব (অর্থঃ শক্তিশালী)
- মাজহার (অর্থঃ নিদর্শন)
- মাহির (অর্থঃ দক্ষ)
- মাহিদ (অর্থঃ শান্তি আনয়নকারী)
- মুহাইমিন (অর্থঃ সাক্ষী)
- মামদু (অর্থঃ প্রশংসিত)
- মুঈনুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের সাহায্যকারী)
- মন্জুরুল হক (অর্থঃ প্রকৃত অনুমোদিত)
- মাকসুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের উদ্দেশ্য)
- মুফিদুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের কল্যাণকারী)
- মুবসিতুল হক (অর্থঃ সত্যের প্রমাণকারী)
- মুমতাজ উদ্দিন (অর্থঃ ধর্মের উৎকৃষ্ট)
- মাহদী হাসান (অর্থঃ সুন্দর পথ প্রাপ্ত)
- মকবুল হাসান (অর্থঃ সুন্দর স্বীকৃত)
- মাহফুজুল হক (অর্থঃ সত্য সংরক্ষক)
- মুনাওয়ার মেসবাহ (অর্থঃ প্রজ্জলিত প্রদীপ)
- মাহবুর রহমান (অর্থঃ দয়াময়ের প্রিয়)
- মনিরুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের আলোকজ্জল)
- মুঈনুদ্দীন (অর্থঃ ধর্মের সাহায্যকারী)
- মিরাজুল হক (অর্থঃ সত্যের সিড়ি)
- মাহমুদুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের প্রশংসিত)
- মিজানুর রহমান (অর্থঃ করুণাময়ের দাঁড়িপাল্লা)
- মাজহারুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের আবির্ভাব)
- মাহমুদুল হাসান (অর্থঃ সুন্দর প্রশংসিত)
- মানসুরুল হক (অর্থঃ প্রকৃত বিজয়ী)
- মতিউর রহমান (অর্থঃ করুণাময়ের অনুগত)
- মেসবাহ উদ্দিন (অর্থঃ ধর্মের প্রদীপ)
- মামুনুর রশীদ (অর্থঃ নিরাপদ পথ প্রদর্শক)
- মারুফ বিল্লাহ (অর্থঃ প্রসিদ্ধ আল্লাহর জন্য)
- মুজিবুর রহমান (অর্থঃ গ্রহণকারী করুণাময়)
- মুনতাসির আহমাদ (অর্থঃ বিজয়ী প্রশংসাকারী)
- মাহির ফয়সাল (অর্থঃ দক্ষ বিচারক)
- মুরাদুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের বাসনা)
- মুনতাসির মাহমুদ (অর্থঃ বিজয়ী প্রশংসনীয়)
- মুহিউদ্দীন (অর্থঃ ধর্মের পুনঃ জাগরণকারী)
- মুবারক হুসাইন (অর্থঃ কল্যাণময় সুন্দর)
- মিনহাজুল আবেদীন (অর্থঃ এবাদত কারীদের প্রশস্ত রাজপথ)
- মুহতাসিম ফুয়াদ (অর্থঃ মহান অন্তর)
- মুহিবুল্লাহ (অর্থঃ আল্লাহ প্রেমিক)
- মুবতাসিম ফুয়াদ (অর্থঃ পরিশোধিত অন্তর)
- মনিরুজ্জামান (অর্থঃ যুগের আলো দানকারী)
- মাহমুদুর রহমান (অর্থঃ অতি দয়াময়ের)
- মোসাদ্দেক হাবীব (অর্থঃ প্রত্যয়নকারী বন্ধু)
- মাসুম লাতীফ (অর্থঃ নিষ্পাপ পবিত্র)
- মওদুদ আহমেদ (অর্থঃ প্রিয় পাত্র অত্যন্ত প্রশংসাকারী)
- মাজিদুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলাম গৌরবময়)
- মুসাদ্দীকুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের সত্যয়নকারী)
- মনীরুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের আলো)
- মুজাহিদুল ইসলাম (অর্থঃ ইসলামের জন্য জিহাদকারী)
- মুনতাসীর মাহমুদ (অর্থঃ বিজয়ী প্রশংসনীয়)
মুসলমানগণ ইসলামিক নাম কেন রাখে?
মুসলমানগণ ইসলামিক নাম রাখে কারণ এটি ইসলামিক ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। ইসলামে নাম বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং সাধারণত একটি বাচ্চার জন্মের সময় প্রদত্ত হয়। একজন মুসলমানের নাম প্রদত্ত হলে সে নামের মাধ্যমে তার ধর্ম, ব্যক্তিত্ব এবং সম্পর্ক সম্পর্কিত তথ্য জানা যায়। আরও দুটি সাম্য হলো নামের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির পরিচিতি এবং অন্য লোকদের তার সাথে সম্পর্ক পরিষ্কার করা হয় এবং নামের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির মূল্যবান গুণ ও সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করা হয়। ইসলামিক নাম রাখা একটি ঐতিহ্যিক পদ্ধতি এবং এটি ইসলামিক সমাজে একটি গৌরবময় ব্যবহার। ইসলামিক নাম বেশ গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেই নামগুলি সাধারণত আরবি ভাষার উপাদান থেকে তৈরি হয়।