কেরু মদ বিক্রয় কেন্দ্র । যেভাবে বাংলাদেশী কেরু ব্র্যান্ডের মদ তৈরি করা হয়
রেকর্ডের পর রেকর্ড করেই যাচ্ছে বাংলাদেশী মদের ব্রান্ড কেরু।চিনি উৎপাদনে যেখানে বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে, সেখানে অতিরিক্ত উৎপাদন হিসেবে বিক্রি করে পাঁচ বছরে ৪৭৩ কোটি টাকা লাভ করেছে কেরু ব্রান্ডের মদ।
কেরু ব্র্যান্ডের মদের উৎপাদন প্রক্রিয়া
দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে এই দেশি মদের চাহিদা। তবে অত্যন্ত লাভজনক এই মদ তৈরীর প্রক্রিয়াও বেশ জটিল। কেরুর মত তৈরির জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় আমাদের অতি পরিচিত আখ। কিন্তু কৃষকের চাষ করা আখ থেকে বোতল পর্যন্ত যাওয়ার প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা। জমিতে আখ বড় হলে তা কেটে বড় বড় গাড়িতে করে আনা হয় চুয়াডাঙ্গায়অবস্থিত কেরুর কারখানায়। এরপর গাড়ি থেকে সেই আখ তুলে দেওয়া হয় কাডিং মেশিনে। অত্যন্ত ধারালো ব্লেডের মাধ্যমে লম্বা লম্বা আখ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। পরবর্তীতে আখের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ চলে যায় প্রেসার মিলে। সেখানে বের করা হয় আখের রস, তবে এই রস এখনো খাওয়ার উপযোগী নয়। আখ পরিষ্কার না করে সরাসরি রস বের করায় তাতে বিভিন্ন প্রকার ময়লা লেগে থাকে। ফলে রস দেখতে কিছুটা কালচে হয়। এরপর কালচে আখের রস পরিষ্কার করার জন্য নেওয়া হয় আরেকটি মেশিনে। সেখানে প্রক্রিয়াজাত করে চিনি তৈরি করার জন্য ময়লা ও পরিষ্কার জুস আলাদা করা হয়। সেই জুস পরিষ্কার করার জন্য হিটারে দেওয়া হয় যাতে আর কোন প্রকার ময়লা না থাকে। এরপর উপজাত হিসেবে আখের যে ছিটাগুড় তৈরি হয় তা কোম্পানিতেগাজন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে মদ তৈরি করা হয়।
কেরু ব্র্যান্ডের মদের বিস্তারিত
বাজারে তিন তিনটি সাইজের ফরেন লিকার তৈরি করা হয়। বর্তমানে ভটকা, ব্যান্ডি ও হুইস্কিসহ মোট আটটি ব্র্যান্ড চালু রয়েছে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে তিনটি সাইজের লিকার তৈরি করা হয়।একটি ৭৫ml, অন্য দুইটি ৩৭৫ml,১৮০ml ইত্যাদি।