কচুরিপানার কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি পণ্য
ধ্বংস কর এই কচুরিপানা, এরা লতা নয় পরদেশী অশুর ছানা। এভাবেই কচুরিপানার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। শুধু তাই নয় বাংলা থেকে এই জঞ্জাল নির্মূলের জন্য মাঠে নেমে ছিলেন প্রশাসন আর রাজনীতিবিদরা। বর্তমানে এই কচুরিপানা থেকে কাগজ ও বিভিন্ন পণ্য তৈরি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।
কচুরিপানা থেকে কাগজ তৈরির প্রক্রিয়া
অ্যামাজনের এই উদ্ভিদ বাংলাদেশে পৌছায় ১৮ শতকের শেষ ভাগে। এবং আপনা থেকে জন্ম নিয়ে বিঘ্ন ঘটায় চলাচল আর ফসল আবাদে। এই জলজ দ্রুত বংশবিস্তারে সক্ষম। এই জলজ উদ্ভিদকে কাজে লাগিয়ে বাহারি পণ্য ও রংবেরঙের কাগজ তৈরি করছেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার দরিদ্র নারীরা। নারীরা নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করছেন বিভিন্ন রঙের কাগজ এরপর এই কাগজ থেকে বাহারি পণ্যও তৈরি করছেন। এভাবেই তারা অর্থ উপার্জন করছেন। গেল অর্থ বছরে রপ্তানি হয়েছে আড়াই কোটি টাকার পণ্য। কচুরিপানার কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুতুল, ক্রিসমাস ট্রি, কার্টুনসহ হরেক রকমের উপহার সামগ্রী। এসব কাজের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক নারীরা। বাংলাদেশে উৎপাদিত এসব পণ্যকে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।এই কচুরিপানার কাগজ ও তা থেকে তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখবে বলে উদ্যোক্তারা মনে করেন। কারণ এ পণ্য এ দেশের রপ্তানি হয় বেশি।